World Preventation Day 2024 :- বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস কেন পালন করা হয় ? বিশদ জেনে নিন !

World Preventation Day 2024 :-  পূর্বের তুলনায় বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার বৃদ্ধির কারণে , সরকারের এক বিশেষ ক্রমবর্ধমান ঘটনার ওপর জোর দেওয়া আবশ্যক । ভারতবর্ষে প্রত্যেক বছর প্রতিনিয়তভাবে লাক্ষাধিক মানুষ আত্মহত্যা করে প্রাণ হারান । তাই মানুষের এই আত্মহত্যার বিষয়ে ভারত সরকার নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে । সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল , ভারতেবর্ষে প্রতিনিয়ত লক্ষেরও বেশি মানুষ যথা ছাত্রসমাজ আত্মহত্যা করে মারা যায় । যেখানে চলতি বছরের ( NCRB ) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওপর ভিত্তি করে দেশের মোট আত্মহত্যার সংখ্যা 2% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ছাত্রসমাজের আত্মহত্যার সংখ্যা মোট 4% বৃদ্ধি পেয়েছে । তাই বর্তমানে এই আত্মহত্যার প্রতিবাদে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ আবশ্যক।

তাই 2003 সালে দেশের বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা WHO এর সাথে মিলিত হয়ে দেশের জনগণের আত্মরক্ষার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন দ্বারা প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসের 10 তারিখ থেকেই বিশ্ব আত্মরক্ষা প্রতিরোধ দিবস গঠন করা হয়েছিল । এর মাদ্ধমে সরকার জনগণের প্রতি তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা , সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং একক বার্তা দেওয়ার মাদ্ধমে আত্মরক্ষা প্রতিরোধযোগ্য করা হয় ।

*এক নজরে :- মঙ্গলবার হাতরাস স্টামপেডের দুর্ঘটনায় 121 জনেরও বেশি সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয় ! ঘটনাটিকে নিয়ে সমগ্র ভারতে বিরাট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে !

জনগণের আত্মরক্ষা প্রতিরোধের জন্য ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের দেশের বিশ্ব আত্মরক্ষা দিবসের তৃতীয়তম বার্ষিকী ছবি হল “আত্মরক্ষার ওপর আখ্যান পরিবর্তন ও একে ওপরের সাথে কথোপকথন শুরু করুন “। এই ছবির মূল কথা হল – দেশের জনগণের আত্মহত্যার চিন্তাধারাকে বদলানো এবং নির্বিঘ্নে-নির্বিশেষে একে-ওপরের সাথে যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা কথোপকথন ।

* বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধমূলক সরকারের কর্মসূচির তালিকা :- 

1.  এলকোহল থেকে দূরে থাকুন |

2. তামাক , ড্রাগস্ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন ।

3. একে -ওপরের সাথে খোলামেলাভাবে কথোকথন করুন ।

4. নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করুন ।

5. শিথিল পরিবেশের দিকে মনযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন ।

*আরও পড়ুন :- কেরালার মালাপ্পুরাম জেলার 14 বছর বয়সী কিশোর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ! এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর কী কী বাধানিষেধ জারি করল !

ভারতের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সিনিয়র ডক্টর সত্যকান্ত ত্রিবেদীসহ মদ্ধপ্রদেশের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন , নিজেই নিজের মানসিক শক্তিকে টিকিয়ে রাখার উৎস । আমরা পরিবেশে চলাকালীন সকল প্রকার মানুষকে , আত্মীয়স্বজন ও জীব-জন্তুদের দেখে আমরা তার আচরণ বিবেচনা করতে পারি । তাই এই পরিপ্রেক্ষিতে যদি আপনি জনগণের মধ্যে তাদের আচরণ , মেজাজ , চলনগমনের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন দেখা গেলে তাদের চরিত্র লক্ষ্য করে বিশেভাবে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে ।

জীবনে চলাকালীন যে কোনো বিষয়ের প্রতি কাজের প্রতি আহ্বান দেশের জনগণকে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করার বিষয়রীকে উৎসাহিত করার মূল উৎস । আসে-পাশের জনগণের নানান ধরণের কথোপকথন একটি নিম্নতম সমাজের সহায়ক হিসেবে দারুন অবদান রাখে । ফলে লোকেদের এই নানান ধরণের কথোপকথন একজন সাধারণ মানুষকে তার মানসিক চিন্তাধারাকে বদলে দিতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত পরিণত হতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।[wpforms id=”148″ description=”true”]

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*