Sirajganj Express (ভারত-বাংলাদেশ) :- ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতে দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হচ্ছে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস । এই সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি কলকাতা শহর থেকে ঢাকায় যাতায়াতের একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন । খবরসূত্রে জানা গিয়েছে, গত 15 নভেম্বর, শুক্রবার ভোর থেকেই পুনরায় ভারত থেকে বাংলাদেশের ঢাকা পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে, যা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফীনূর মোহাম্মদ এর থেকে এই নির্দেশনাটি পাওয়া গেছে ।
তবে লোকমুখে নানান প্রশ্ন এই সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের চলাচলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কেন ? কি পরিস্থিতিতে আবার পুনরায় এক্সপ্রেসটির চলাচল শুরু হয় ? ইতিমধ্যেই জানুন ।
* কেন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ?
গত 4 আগস্ট ছাত্র সমাজে উদ্ভাবিত কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন এবং সদানন্দপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এই ঘটনায় সংলগ্ন স্টেশনগুলিতে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় । এর ফলে যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় । যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে Sirajganj Express পুনরায় আবার রেলপথে চলাচল করার দাবিতে সিরাজগঞ্জবাসী এক ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে ।
বাংলাদেশের ঢাকা জেলার BNP পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে পুনরায় ট্রেন চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং সাংস্কৃতিক পদযাত্রার মতো বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা হয় । এর পাশাপাশি বাংলাদেশের রেলওয়ের নানান কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পুনরায় ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা নিয়ে নানান ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয় ।
“রাজস্থানে তৈরি 820 কোটির ডেডিকেটেড রেলওয়ে ট্র্যাক!” এই ট্র্যাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জানেন কী!
* সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের চালু হওয়া নিয়ে প্রশাসনের বক্তব্য কী ?
পশ্চিমাঞ্চলের নেতৃত্বাধীন রেলওয়ে পরিষেবার ব্যবস্থাপক শাহ সুফীনূর মোহাম্মদ জানান, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি বর্তমানেও পূর্বের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে । যেখানে পূর্বে এক্সপ্রেসটি ভোর 06:00 am টায় সিরাজগঞ্জ বাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিকেল 08:15 pm টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে সিরাজগঞ্জের দিকে রওনা দেয় ।
* সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের নতুন দাবি নিয়ে আলোচনা :-
বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণ এবং আন্দোলনকারীদের মতে, এই ট্রেনটি লোকাল না হয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের মতোই পরিচালিত হলে ভালো হয় । এছাড়াও, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি শহরের ওপর দিয়েই উত্তর থেকে পশ্চিমী অঞ্চল গুলিতে চলাচলের কথা বলেছেন । পাশাপাশি তারা এও দাবি করেছেন, রেলওয়ের অকেজো জমিগুলিকে মেরামত করে পুনরায় রেল যোগাযোগ স্থাপন করা ।
এক্সপ্রেসটি পুনরায় চালু করার দাবিতে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “বাংলাদেশে রেলের শহর নামে সিরাজগঞ্জ বাজারই সর্বোচ্চ । তাই আমাদের একটাই দাবি, নতুন যমুনা সেতু চালুর পর সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ চালুর মাধ্যমে রায়পুর জংশন হয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব স্টেশনগুলিতেই চালু হোক ।
ভারত- বাংলাদেশ চলাচলের ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি পুনরায় চালু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিরাট স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছেন । পুনরায় ঢাকার সঙ্গে ভারতের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ আবারও স্থাপন করা হবে, যার ফলে দেশের স্থানীয় অর্থনীতি ও যাত্রীসেবায় ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে বলে আশা করা যায় ।