Hemanta Sharma (অসম):- ভারতের অসম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত শর্মার সিদ্ধান্তে রাজ্যের সমস্ত হোটেল, পাবলিক প্লেস, হাট-বাজারগুলিতে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়ার ওপর 4 ডিসেম্বর তারিখেই নিষেধাজ্ঞা জারি ঘোষণা করেন । রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । এরপরই সমাজমাধ্যমে চলতে থাকে তাকে নিয়ে নানান সমালোচনা ।
খবর মাধ্যমে তিনি একটি দাবি উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেন গরুর মাংসের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি যে নতুন, টা নয় । এর আগেও গত 3 বছর আগে এই আইন পাশ হয়েছিল । তবে সেই সময়ে এটি দারুন কার্যকরও ছিল ।
তবে রাজ্য সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্ত আরও এক কদম এগিয়ে রয়েছে । দাবিতে শোনা গিয়েছে, 4 ডিসেম্বর থেকে অসম রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রির পাশাপাশি কোন হোটেল বা রেস্তোরায় এটি পরিবেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এমনকি পাবলিক প্লেস বা কোন অনুষ্ঠানেও এটি পরিবেশন করা হবে না । তাই আজ বুধবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত হোটেল ও রেস্তোরাগুলিতে গরুর মাংস নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে । “বাংলাদেশে হিন্দু নিধনযজ্ঞ !” বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের আগুন …
তবে এমনটা নয় যে, অসমে গরুর মাংস খাওয়া আইনত অপরাধ । গত 2021 সালের অনুষ্ঠিত “আসাম ক্যাটল প্রিজার্ভেশন অ্যাক্ট” অনুযায়ী রাজ্যে বসবাসকারী হিন্দু, জৈন ও শিখ সম্প্রদায়ের মন্দির সংলগ্ন পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে গরু জবাই ও গরুর মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ ছিল । তবে এবারের রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে রাজ্যের সমস্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁ কিংবা জনসম্মুখে এটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত শর্মা আরও জানান, পূর্বে রাজ্যে মন্দির সংলগ্ন পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল । তবে ডিসেম্বরের এই দাবিতে গোটা রাজ্যেই ব্যাপকভাবে প্রসারিত করা হয়েছে । তাই অন্য কোন সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে নিজস্ব জায়গা বা জনসম্মুখে হোটেল ও রেষ্টুরাগুলিতে গরুর মাংস পরিবেশন করার উপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এর আগে 2021 সালের আইনে মন্দির সংলগ্ন 5 কিলোমিটারের কথা বললেও এখন সেটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা ।
“সংখ্যালঘুদের আশঙ্কা দূর করতে দ্রুত সমাধানের আহ্বান বাংলাদেশ সরকারের !”