Sandeshkhali :- সরকারি টাকা নষ্ট করার পাশাপাশি মহিলাদের মান সম্মানের ওপর যৌন হেনস্থাও করেছেন শাহজাহানের ভাই আলমগীর । তাই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার এক বাসিন্দা 1 April ED কর্মকর্তাদের কাছে আলমগীরের নামে ডাকাতি বিষয়ক মামলার জন্য অভিযোগ করেন । সেই ব্যক্তির বক্তব্য ছিল, যে শাহজাহানের ভাই আলমগীর প্রতিনিয়ত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই জেলার সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের সাথে ডাকাতিও করত ।
১.৬. Enforcement Directorate ED কমিশনের আধিকারিকরা শাহজাহান শেখ এর ভাই আলমগীর চোখের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা-পয়সা নষ্ট করার পাশাপাশি মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থা সম্বন্ধিত কু-কার্যক্রমগুলিকে সংগ্রহ করেছেন । এছাড়াও, সন্দেশখালীর জনগনদের কাছ থেকে আলমগীর এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে হুমকি দেখিয়ে তোলা আদায় , ভেড়ি দখল , ভয় দেখিয়ে জমি বাজি অক্ষর করার পাশাপাশি ডাকাতি এবং আরো নানা ধরনের বেআইনি মূলক কার্যকলাপ গুলি তদন্তের সহিত সংগ্রহ করছেন । এই সমস্ত অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ED র উচ্চ আদালতের কাছে দাবি রেখেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার ওপর । যদিও সাক্ষীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি ।
*একনজরে :- সভা চলাকালীন হঠাতে শাহজাহানের পকেট থেকে বের হল বন্দুক , এই নিয়ে বিরাট হইচই এলাকাবাসীর…
২.৬. 19th April শুক্রবার আলমগীর শেখ , শিবপ্রসাদ হাজরা এবং দিদার মোল্লাকে ED র উচ্চ আদালতে হাজির করানো হয় । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর পর 22th April সোমবার পর্যন্ত ইডির অধীনে রাখা হয়েছিল । এদের বিরুদ্ধে ED বিশেষ আদালতে দাবি করেছেন , জমি বাজেয়াপ্ত করার কোটি কোটি টাকা শাহজাহানের সংস্থা থেকে আলমগীর , শিবপ্রসাদ এবং দিদার মোল্লার account এ পাচার হতো ।
৩.৬. এই সমস্ত বেআইনি টাকা আলমগীরের সঙ্গীরা কিভাবে আয় করেছেন ? এই সমস্ত ঘটনা জানার জন্য ED অধিকারিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে বহু তথ্য সংগ্রহ করে সরাসরি আদালতের কাছে পেশ করে । যদিও জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি ।
৪.৬. 6 April শনিবার সন্দেশখালি সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তি ED র কাছে দেওয়া বয়ানে আরো বলেছেন যে , শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখ সব সময় বন্দুক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন । পাশে জনসাধারণের উপর হুমকিও দিতেন । 2nd April ওই একই সাক্ষী দিয়েছিলেন সেখানকার আরো এক ব্যক্তি । এমনকি আলমগীর যখনই তার দপ্তরে আসতেন সবসময় বন্দুক নিয়ে আসতেন । এমনকি সে কারণে শাহজাহানের নামে স্থানীয় জনগণের ওপর হুমকি দিয়ে জমি বাজেয়াপ্ত , তোলা আদায় এবং খুনও করতো । কদিন আগে 1st April সোমবার আরো এক ব্যক্তি ইডির কর্মকর্তাদের কাছে আলমগীরের নামে ডাকাতি মামলায় অভিযোগ দায়ের করে । তিনি বলেছেন , সাধারণ মানুষের ওপর হুমকি দেখিয়ে / ডাকাতি, জমি বাজেয়াপ্ত, অকারণে তোলা আদায় করত ।
*আরও পড়ুন :- কঙ্গনার গালে থাপ্পর মারা মহিলার জন্য লাখ টাকার পুরস্কার বিতরণের ঘোষণা ! বিস্তারিত ঘটনাটি জেনে নিন …
৫.৬. 12th March আদালতে ED যেই সংগৃহীত তথ্য পেশ করেছিল সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা এক ব্যক্তির বয়ান ছিল । তিনি দাবী করেছিলেন জমি সংক্রান্ত বিষয়ক দখলের মামলায় শাহজাহান ও তার সঙ্গী আলমগীরও সামিল ছিল । শাহজাহানের নামে ভয় দেখিয়ে বাকিরা টাকা ছিনতাই এমনকি খুন করতো । 2nd April এর বয়ানে আরো এক ব্যক্তি দাবী করেছেন , শাহজাহানের নাম করে ইটভাটা থেকে ইট নিতে হবে বলে শিবপ্রসাদের গুন্ডাবাহিনীরা ভয় দেখাতেন । 6 April এর আরো এক ব্যক্তি আদালতে বয়ান দিয়ে দাবি করেছেন , সেখানকার স্থানীয় ও গরিব সম্প্রদায়ের মানুষের জমি দখল করে পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা করতেন । এছাড়াও যুবতী মেয়েদের অপহরণ , ভুল বিলের তোলা আদায় সম্পর্কিত কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ।
৬.৬. এইসব বেআইনি মূলক কাজের উপর বিশেষভাবে তদন্ত করে ED উচ্চ আদালতে আরো দাবী করেছেন যে , Sk সাবিনা ফিশারিজ থেকে দিদার মোল্লা মোট ৭ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা পেয়েছেন । তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা নগদ ব্যাংক থেকে তুলেছেন এবং প্রসাদ পেয়েছেন ৫০ লক্ষ টাকা । তবে শিমুর ব্যাংক একাউন্টে প্রায় সময় প্রচুর পরিমাণে টাকা জমা দেওয়া । এইসব কাজকর্মের উপর ভিত্তি রেখে ED জানিয়েছে , এই সকল টাকার একটি অংশ অভিযোগকারীরাও পেয়েছিল ।