R.G. Kar Raily in Lalbazar :- গত বৃহস্পতিবার সেপ্টেম্বর মাসের 2 তারিখ দুপুরের দিকে R.G. kar হসপিটালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল চালু হয় । এই মিছিলে শামিল ছিলেন রাজ্যের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা । তারা হাতে মেরুদন্ড- লাল গোলাপ নিয়ে লালবাজারের দিকে মিছিল শুরু করে । সেই মিছিলে মৌমিতা দেবনাথ এর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে R.G. kar হসপিটালের বিরুদ্ধে নানান ধরনের কটাক্ষ ভাষণ শোনা যায় ।
R.G. kar হসপিটালের ঘটনার পর আজ পর্যন্ত 24 দিন হয়ে গেল কিন্তু এখনো কোনো রকম বিচার পাওয়া যায়নি । এই প্রেক্ষাপটে কলকাতার সমস্ত জুনিয়র ডাক্তার সিটিজেনেরা লালবাজারের অভিযানে আন্দোলন করেন । সেই আন্দোলনে কলকাতার সিপি বিনীত বোয়েলের পদত্যাগ এবং সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি সহ আরো অন্যান্য দাবিতে মিছিল চলতে থাকে । কলকাতা পুলিশ সেই মিছিল আটকাতে লালবাজারের আগেই 9 ফুটেরও বেশি লোহার বেরিগেট লাগিয়ে দিয়েছিল ।
তারপর সেখান থেকেই সেই গোলাপ বেঁধে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ চালু হয় । সেই মিছিলে ডাক্তারদের হাতে লাঠি সমেত দণ্ডনীয় বস্তু মজুত ছিল । সেই বেরিগেট দেওয়ার বিরুদ্ধে তাদের এও দাবি ছিল যে , আগামী 10 মিনিটের মধ্যে লোহার বেরিগেট খুলে দিতে হবে , নয়তো কমিশনারকে নিজে আসতে হবে । তা না হলে বিক্ষোভ আরও জটিল পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত হবে ।
*আরও পড়ুন :- ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের মূর্তি ধ্বসের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে , মহারাষ্ট্রে “Hit With Footwear” বিক্ষোভ মিছিল !
আর জি করের কর্মকান্ডে চরম পর্যায়ে তোলপাড় সমগ্র ভারত । দিন যত বাড়ছে আন্দোলন ততই জোরালো হয়ে আসছে । আরজিকরের বিচারের দাবি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হচ্ছে । প্রতিবাদ মিছিল নবান্ন অভিযানের পর এখন কলকাতার লালবাজার অভিযানে পা দেয় । মিছিলে সেই চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সকলকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি করা হয় । সর্বপ্রথম সেই আন্দোলন কলেজ স্কয়ারে জমায়েত বেঁধে লালবাজারের দিকে আন্দোলন শুরু করা হয় । সেই প্রতিবাদ মিছিলে আন্দোলনকারীরা হাতে হাত রেখে মানব-বন্ধন গড়ে তোলেন । সকলের মুখে একই স্লোগান দিতে শোনা যায় , ‘ছিনিয়ে নিতে ন্যায়বিচার/ গোলাপ হাতে লালবাজার।’ আবারও কিছু আন্দোলনকারীদের হাতে লাল গোলাপ এবং রজনীগন্ধার তোরা নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় ।
সেই মিছিলে যুক্ত হন কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল প্রমুখ । বিক্ষোভ মিছিল লালবাজারের দিকে যত এগিয়ে যাচ্ছে আন্দোলন ততো পরিমাণে লোকসংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে । আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মীরা 9 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট লোহার পাঁচিল তৈরি করলেও আন্দোলনকারীদের আন্দোলন দমন হচ্ছে না । তারপরেই রাস্তার মাঝে বিনীত গোয়েলের কুশপুতুল পোরানো হয় এবং একাধিক পরিমাণে জুনিয়র ডাক্তাররা পথ অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়ে ।
*পড়তে থাকুন :- দেশজুড়ে আরজি করের ঘটনা এক বিশাল রূপ ধারণ করল ! এর পেছনের রহস্য কি তাড়াতাড়ি জানুন !
সেই পথ অবরোধে ডাক্তারদের মুখে একটাই দাবি উঠে আসে , ” আমরা কোনরকম সংঘাত করতে চাই না । আমরা সকলে সেই অপরাধী পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করি । তাই ইতিমধ্যেই আমাদের এই দাবি মানতে হবে । তা না হলে যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ আমাদেরকে বেরিগেটে আটকে রাখছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব ।”
আন্দোলন চলাকালীন হঠাৎ ড্রোনের আবির্ভাব হয় । দেখা যায় সকলের মাথার উপর একাধিক পরিমাণে ড্রোন চলাচল করছে এবং বলা হয় মিছিলে আটকে থাকা 20 জন প্রতিনিধিকে পক্ষে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় । কিন্তু সেই অনুমতিতে আন্দোলনকারীরা নারাজ হন ।
তাই মানববন্ধনের জন্য আগামী বুধবার পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা ডাক দিয়েছেন । সেই ডাকে “দেশের সমস্ত নাগরিককে রাত 9 টা থেকে 10 টা নাগাদ পর্যন্ত ঘরের সমস্ত লাইট বন্ধ করে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।