R G Kar Case :- আদালত থেকে বেরিয়ে সঞ্জয়ের মন্তব্য- “আমি খুন-ধর্ষণ কিছুই করিনি, আমার মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল !”

R G Kar Case

R G Kar Case (কলকাতা) :- গতকাল 4 নভেম্বর, সোমবার আরজিকর মেডিকেল কলেজের খুন ও ধর্ষণ মামলায় শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে মামলায় তদন্ত এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে । তবে মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কেই চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই সরকার । এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, “আমি খুন-ধর্ষণ কিছুই করিনি, এতদিন ধরে আমার মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল ।”

এরপর গত 9 আগস্ট, শনিবার আরজিকর মেডিকেল কলেজে উদ্ধার করা সেই চিকিৎসক তরুণীর ঘটনার 87 দিন পর সিবিআই তদন্তসূত্রে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় । গতকাল থেকেই আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত শুনানি চললেও আগামী 11 নভেম্বর থেকে প্রতিদিন মামলার শুনানি ঘোষণা করা হবে । যদিও তিনি সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন ।

গতকাল সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে এসে সঞ্জয় রায়, সুজন ভ্যানে করে যাবার সময় উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি প্রকাশ করে বলেন, “আমি খুন-ধর্ষণ কিছুই করিনি, আমার মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, আদালতে আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি তার আগেই নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সরকার আমাকে রীতিমতো ফাঁসাচ্ছে, আমার ওপর সমস্ত মামলার দোষী প্রকাশ করা হচ্ছে ।”

আরজি কর মামলায় CBI-এর বক্তব্য ! “কেবল ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, আরও অনেকে জড়িত !”

ইতিমধ্যেই কলকাতার আলিপুরে সিবিআই তদন্তে আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি প্রকাশ হয়েছে । এরপর আদালতে সিবিআই দাবি করেন যে, “এর পিছনে বড়ো ষড়যন্ত্র চলছে । এই মামলায় একজন নয়, একাধিক মানুষ যুক্ত রয়েছে । এমনকি হাসপাতালের সরঞ্জাম সরবরাহকর্মী মা তারা ট্রেডার্স এর লোকেরাও থাকতে পারে ।” CBI এর এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ধৃত বিপ্লব সিংহ বলেন, বর্তমানে সিবিআই খুন-ধর্ষণকারী মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারছেন না বলেই অন্যান্য ধরনের সংস্থাগুলিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ।

গত 9 আগস্ট, শনিবার আর জি কর মেডিকেল কলেজে সেই চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার পর লোকমুখে একটাই কথা উঠে আসছে, এটা ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ ? মামলায় জড়িত এক নাকি একাধিক ? তবে নানান তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সিবিআই এর চার্জশিট তালিকায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামই চিহ্নিত করা হয়েছে ।

অপরদিকে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে একটাই দাবি উঠে এসেছিল, এই ঘটনা কোন মতেই একজন করতে পারে না, এর পেছনে একাধিক মানুষ সামিল হয়েছে । এছাড়াও ধর্ষণ-খুনের মামলার 58 দিন পর 600 পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল । যেখানে উক্ত মামলার প্রায় 128 জন সাক্ষী ছিলেন । এছাড়াও চলতি সপ্তাহে সুপ্রিমকোর্টে ফের আবারও আরজিকর মামলার শুনানি প্রকাশ করা হচ্ছে ।

রাজ্যে 12 লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট অকেজো ! দেড় মাস পর হাইকোর্টে আবারও মামলার শুনানি ঘোষণা !

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top