MAKAUT Professor Student wedding:- সামাজিক মাধ্যমের দৌরাত্ম্যে আবারও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল । তবে এবারের ভিডিওটি কোনো সাধারণ ভিডিও নয়, বরং একটি ড্রামা ক্লিপের অংশ । নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)-এর মনস্তত্ত্ব বিভাগের ক্লাসরুমের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দারুন ভাবে ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ক্লাসরুমের ভেতরে কিছু ছাত্রছাত্রী নাচ-গান করছে, সিঁদুর পরানো, মালাবদল ইত্যাদি রীতিনীতি পালন করছে । ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে, “যদিদং হৃদয়ং তব, তদিদং হৃদয়ং মম…”। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই চমকে গেছেন এবং নানারকম প্রশ্ন তুলছেন, ক্লাসরুমে আবার এ সব কী হচ্ছে?
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই এক সমালোচনার ঝড় উঠেছে । যদিও ঘটনার সত্যতা ও প্রেক্ষাপট নিয়ে মুখ খুলেছেন সংশ্লিষ্ট অধ্যাপিকা । তিনি জানিয়েছেন, “ভিডিওটি আসলে একটি ড্রামা ক্লিপের অংশ, যা সম্পূর্ণভাবে নাটকীয় দৃশ্যের জন্য তৈরি করা হয়েছিল । এটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ ছিল ।”
অধ্যাপিকা বলেন, “সকাল থেকেই দেখছি ভিডিওটি সমাজ মাধ্যমে দারুন ভাবে ভাইরাল হচ্ছে । প্রচুর মানুষের কমেন্ট আসছে, পজিটিভ, নেগেটিভ সব ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে । তবে এটা আমার জন্য খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা যে, একটি ড্রামা ক্লিপের অংশ সমাজ মাধ্যমে এইভাবে ভাইরাল হয়ে গেল । বাস্তবে এটি কোনো অরিজিনাল ঘটনা নয়, বরং একটি একটি নাটকীয় দৃশ্যের অংশ মাত্র ।“”ঢাবি গাছের ভেতর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত লাশ !” জানুন ব্যক্তিত্বের পরিচয় …
তিনি আরও বলেন, “এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ফলে আমার পাশাপাশি অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনেও প্রভাব পড়ছে । তাদের ক্যারিয়ার, মানসিক অবস্থা সব কিছুই এই ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে । আমি চাই না যে, এই ভিডিওটির কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হোক । আমি সব সময় ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছি, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি ।”
অধ্যাপিকা আরও আবেদন জানান, “আমি সবাইকে অনুরোধ করব, এই ভিডিওটি নিয়ে আর বেশি আলোচনা না করতে । যদি এই ধরনের কোনো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দেখেন, তাহলে দয়া করে সেটি রিপোর্ট করুন । এটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, বরং একটি নাটকীয় দৃশ্যের অংশ । যদি এটি অরিজিনাল হত, তাহলে আলাদা কথা ছিল। এছাড়াও আমার দিক থেকে আমি লিগাল পদক্ষেপ নিচ্ছি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ।” মদ খেয়ে যুবতীর নাজেহাল পরিস্থিতি ! অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ।
অধ্যাপিকা শেষে বলেন, “কে এই ভিডিওটি ভাইরাল করেছে বা তাদের উদ্দেশ্য কী, সেটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে । তবে আমি শুধু এটাই বলব, এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ফলে আমার পাশাপাশি অনেক ছাত্রছাত্রীর জীবনেও প্রভাব পড়ছে । তাদের ভবিষ্যৎ আছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য আছে । সেটা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাই আমার একমাত্র চাওয়া।” সত্যের জন্য বলি! ছত্তিশগড়ে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের নির্মম হত্যাকাণ্ড !