১.৭. কয়লা চুরির মামলায় CBI এর পাশাপাশি ED ও বিশেষ নজরদারের সহিত তদন্ত শুরু করেছে । তদন্ত করা হলে অনুপ মাঝি ওরফে লালা নামক এক ব্যক্তির সাথে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় । ঘটনা সূত্রের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় CBI লালা কে তাদের অধীনে বাঁচিয়ে রাখলেও, ইডির তদন্তে এসবের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই । তাই মঙ্গলবার সকালে ED র তদন্তে লালাকে গ্রেফতার করা হবে কী না ? এই নিয়ে নানান ধরনের আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে ।
২.৭. অবশেষে কয়লা চুরির মামলায় অভিযুক্ত লালা (অনুপ মাঝি) আদালতের কাছে পরাজয় স্বীকার করলেন । ঘটনা সূত্রে , তদন্ত করা হলে আসানসোলের সিবিআই বাহিনীর দ্বারা লালাকে আত্মসমর্পণ করানো হয় । এর আগেও বেশ কয়েকবার লালা কে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল । তার কারণ উচ্চ আদালত জানিয়েছিলেন , যেরকমই কার্যক্রম করা হোক না কেন লালার বিরুদ্ধে কোনরকম কঠোর পদক্ষেপ বা গ্রেফতারি মামলা CBI করতে পারবে না । যার জেড়ে এতদিন ধরে লালা বেঁচে আসছিল । অপরদিকে আবার এও বলা হয়েছিল যে , কয়লা চুড়ির সম্পর্কিত যে তদন্ত চলছে তা খুব শীঘ্রই বন্ধ করতে হবে ।
৩.৭. কয়লা পাচারের মামলার ভিত্তিতে আগামী মঙ্গলবার ২ মে উচ্চ আদালতের কাছে ED চার্জশিট পেশ করার কথা ছিল । মামলার জেরে চার্জশিট পেশ করার এক সপ্তাহের অন্তরেই উচ্চ আদালতের কাছে লালা নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন । রিপোর্টে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে আদালতের কাছে নিজেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে আসার পরেও এদিন কিনা আদালতের কাছে জামিন নিয়ে হাজির হয়েছিল ।
*এক নজরে :- কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় প্রকাশ্যে চড় খেলেন কল্পনা রানাওয়াত ! পুরো ঘটনাটির পেছনে কী কারণ রয়েছে জেনে নিন … https://sambadtaranga.in/kangana-ranawat
৪.৭. দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আদালতের কাছে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে রক্ষা পাওয়ায় CBI এর প্রশ্ন , ঘটনাচক্রে লালা কে মুখোমুখি কথোপকথন না করা অব্দি কোনরকম চার্জশিট কি করে পেশ করা সম্ভব ? এই যুক্তিতে সিবিআই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন , লালার অন্যান্য গ্রেফতারি তথা অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বাধা থাকলেও জেরায় সেরকম কোন বাঁধা নেই । এই পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তে নামে লালা কে খোঁজার জন্য । কিন্তু তার খোঁজ সিবিআই সরকার পায়নি । তবে আসানসোলের লোকসভা কেন্দ্রের ভোট শেষ হওয়ার পরে মঙ্গলবার সিবিআই উচ্চ আদালতে লালাকে পেশ করে ।
৫.৭. অপরদিকে সিবিআই এর পাশাপাশি ED ও কয়লা বাজার মামলায় বিশেষভাবে তদন্ত চালাচ্ছে । সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় লালাকে বাঁচিয়ে রাখলেও এডির মামলায় কোনরকম বাঁধা নেই । ঘটনা সূত্রে লালা উচ্চ আদালতের কাছে নিজেকে পরাজয় স্বীকার করায় এটি তাকে গ্রেফতার করবে কি না ? এই নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে ।
৬.৭. গত ২০২০ সালে সিবিআই কয়লা পাচারের মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল । তদন্তে লালার বিভিন্ন ধরনের রেলের siding এলাকা থেকে কয়লা চুরির কর্মকান্ড প্রকাশ্যে আসতেই আয়কর দপ্তর এবং CBI বিশেষভাবে তদন্তে নামলে লালার সমস্ত বাড়ি, অফিস, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে । এই কর্মকান্ডে শামিল থাকা লালার সাথে আরোও ৪ জন গ্রেপ্তার হয় । সেই ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের জামিন হয়ে গেল গুরুপদ মাঝি (লালার ঘনিষ্ঠ) এখনো পর্যন্ত দিল্লির তিহার জেলে বন্দি ।
৭.৭. এছাড়াও কয়লা পাচারের পাশাপাশি গুরু পাচারের মামলার উপরেও অভিযোগ ওঠে । ঘটনা সূত্রে জানা যায় গরু পাচারের Head এনামুল হকও লালার সঙ্গে যুক্ত । এও জানা যায় যে কয়লা পাচারের সময় এনামুল হকেরই বিশেষভাবে সাহায্য নিতেন । এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ , ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড এবং রেল কর্তারাও নাকি এই মামলায় বিশেষভাবে লালার সাথে জড়িত ছিল । কয়লা পাচারের মামলায় তদন্তকারী সমিতির নানান জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কর্মীর সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । অপরদিকে আবার গরু পাচারের মামলায় গ্রেপ্তারিত হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে লালার পরাজয় শিকারে আরো এক নতুন দিক আসতে পারে ।