HPV Virus:- চীনে শীতকাল চলাকালীন সময়ে এইচএমপিভি ভাইরাস ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে । চীনের লাক্ষাধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হাসপাতাল গুলিতেও প্রতিনিয়ত রোগীদের ভিড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে । চীনের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতেও এই ভাইরাস আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যা ভারতসহ অন্যান্য দেশেও সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে । তাই ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনগণকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন ।
1. HPV Virus একটি আরএনএ ভাইরাস, যা নিউমোভাইরিডি পরিবারভুক্ত । এটি মানবদেহে শ্বাসজনিত সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এটি সর্দি-কাশির মতো সমস্যার সৃষ্টি করে । শীত এবং বসন্তকালে এই ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় থাকে । তবে রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (RSV) এবং ফ্লুর মতো, এইচএমপিভিও একই ধরনের প্রভাব ফেলে ।
2. এই ভাইরাস যে নতুন, তা নয় । তবে এটি করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মকও নয় । প্রথমত এটি 2001 সালে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল । তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এই ভাইরাস 1958 সাল থেকেই সক্রিয় ছিল । কিন্তু এতদিনধরে এটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়নি, এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ভ্যাকসিন বা গভীর গবেষণাও করা হয়নি । তাই এখন এই ভাইরাসের নাম শুনে অনেকেই, আতঙ্কিত হয়ে আছেন ।
3. HPV Virus সাধারণত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় । তবে সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সহজেই এর সংক্রমণ হতে পারে । এর সংক্রমণকাল সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি এবং জ্বর ।
4. বর্তমানে এই ভাইরাসের জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই । চিকিৎসকদের মতে, HPV Virus থেকে রক্ষা পেতে শ্বাসজনিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই ভাইরাসকে এড়িয়ে চলতে প্রয়োজনীয় মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সংক্রামিত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অন্যতম কারণ ।
5. চীনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভারতে এর ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে । এজন্য ভারত সরকার জনগণকে উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার ও হাত ধোয়ার মতো সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে । পাশাপাশি, ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ভাইরাসটির উপর বিশেষভাবে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
