Sukanta Majumdar :- মোদির কাছে ” বাংলাকে ” অ-খণ্ড করার দাবি রাখলেন সুকান্ত মজুমদার ! দৃষ্টিতে রয়েছে মালদহ , মুর্শিদাবাদ !

দিল্লি :- গত বুধবার দিল্লির এক আলোচনা সভায় ” বাংলাকে অ-খন্ড ” করার জন্য Sukanta Majumdar নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিশেষ ভাবে দাবি করেন । বক্তব্যের মূল কারণ ছিল উত্তরবঙ্গের দুই মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিকে ‘ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ‘ রূপান্তরিত করা । সেই অঞ্চলের সাথে বিহারকেও যুক্ত করার দাবি রাখেন । তার এই দাবিতে রাজ্যে আরও এক নতুন মোর্চা সৃষ্টি হয় ।

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বুধবার নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলাকে দুইভাগে ভাগ না করতে চাইলেও উত্তরবঙ্গকে পৃথকভাবে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলিকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য বিশেষভাবে দাবি জানিয়েছিলেন । তার এই দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের ‘তৃণমূল’ সাংসদের অভিযোগ – “ বাংলাকে ভাগ করার পেছনে বিজেপির নতুন চক্রান্ত চলছে “। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও একই মন্তব্য করেছেন । এবারের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নতুন শুনানি ঘোষণা করেছেন , তিনি বলেছেন – ” বাংলার মালদহ , মুর্শিদাবাদ জেলাগুলির ‘জনবিন্নাসের ভারসাম্যতা‘ বজায় রাখার ওপর নজর দিয়ে উক্ত জেলাগুলিকে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে’ রূপান্তরিত করা হোক । এছাড়াও বিহারের কিশানগঞ্জ , ওরারিয়া এবং কাতিহার জেলাগুলিকেও ওই ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের’ সাথে যোগ করা হোক ।

উল্লিখিত দাবি গুলি ঝাড়খণ্ডের ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও করেছেন । যিনি উচ্চ আদালতের কাছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার অভিযোগ করেছিলেন । আর তার এই অভিযোগেই মহুয়া মৈত্র লোকসভা নির্বাচন থেকে বহিষ্কৃত হয় । এই সুযোগেই এবার নিশিকান্ত দুবে লোকসভা কেন্দ্রে বাংলা থেকে বিহার সহ 5 টি মুসলমানি জেলাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার দাবি জানিয়েছেন ।

*আরও পড়ুন :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কমলা হেরিস এর সাথে ফোনে রাজীব গান্ধীর কী কথোপকথন হয় …

এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার লোকসভায় নিশিকান্ত বলেছিলেন – ” বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বাংলা ও বিহারের ক্রমশ জনবিন্যাসীর বদল দেখা দিচ্ছে ।” এরই সঙ্গে দাবি করেছিলেন – ” উল্লিখিত জেলাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করে কঠোরভাবে NRC ( National Register Of Citizens ) গঠন করা হোক ।” তিনি আরও বলেছেন – ” এর আগে বিহার রাজ্যকে ভাগ করে ওই এলাকাগুলিকে ঝারঘন্ডের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল তখন আদিবাসীদের সংখ্যা ছিল 36 শতাংশ যা বর্তমানে 26 শতাংশে এসে পৌঁছেছে । এই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা 10 শতাংশে নেমে আসার কারণ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা জোর করে আদিবাসী মহিলাদের বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত JMM ( Jharkhand Mukti Morcha )সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমাদের এলাকাগুলিতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের সংখ্যাও অনবরত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

নিশিকান্ত আরও বলেছেন , ” মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশেরা এসে হিন্দুদের ওপর অনবরত অত্যাচার চালাচ্ছে । এর বিরুদ্ধে ঝাড়খন্ড পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না । এর কারণে নরেন্দ্র মোদির কাছে আমার বিশেষ বিশেষ অনুরোধ , খুব শীঘ্রই কিশানগঞ্জ , ওরারিয়া , কাতিহার , মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গঠন করা হোক । নইলে আমাদের হিন্দুদের বাংলায় আর অস্তিত্ব থাকবে না । পাশাপাশি NRC ও চালু করা হোক । যদি আপনাদের কাছে কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে কমিটি পাঠান । হিন্দুদের ধর্মান্তরন ও বিনা অনুমতিতে বিবাহের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক ।”

তার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকারের চক্রান্তের কথাও তুলে ধরেন । তিনি বলেছেন , ” বিনানুমতিতে বাংলাদেশীদের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কর্মীরা একের পর এক গ্রাম খালি করে দিচ্ছে । এই বক্তব্যে তিনি বলেন, তার এই বক্তব্য ভুল প্রমাণিত হলে তিনি তার আসন থেকে পদত্যাগ করতে রাজি হবেন ।”

উক্ত আলোচনার পর তৃণমূলের যুবক সাংসদ সৌগত রায়  আক্রমণ করে বলেন , ” Sukanta Majumdar এই দাবিকে আমরা পুরোপুরিভাবে বিরোধিতা করবো । উনি (সুকান্ত) বলেছেন , বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করে পৃথকভাবে মুসলিম জেলা গঠন করতে হবে । এসবই পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ বাংলাকে অ-খন্ড করার চক্রান্ত । তার এই এই মন্তব্য আমরা মানব না । এর বিরুদ্ধে আমরা প্রবল বিরোধিতা করবো ।”

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*