Mpox Virus ( কেরালা ) :- বর্তমান ভারতের কেরালায় COVID-19 ( করোনা ভাইরাস ) পর আরো এক নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে । ভাইরাসটির নাম মাঙ্কিপক্স । এই মাংকি বক্স ভাইরাসটি ভারতের সর্বপ্রথম কেরালায় Clade 1B স্ট্রেনের কারণে ধরা পড়ে । গবেষণা সূত্রে প্রায় মাসখানেক পরে এই ভাইরাসজনিত রোগটিকে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের রোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।
গবেষকদের আশঙ্কাজনক ভিত্তিতে বলা যায় যে এই Clade 1B স্ট্রেন দ্বারা তৈরি ভাইরাসটি অত্যাধিক পরিমাণে লোকের মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করছে । ভারতের মধ্যে এর আগেও সেপ্টেম্বর মাসে হরিয়ানার এক 26 বয়সী লোকের উপর আক্রমণ করে । যিনি এই ভাইরাসটিকে নানান গবেষণা করেছিলেন ।
ইতিমধ্যে কেরালার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এই মারাত্মক Mpox ভাইরাসটি ওপর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়টির সংশোধনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । স্বাস্থ্য দপ্তর থেকেও বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই স্থিতিশীল রোগীদের শারীরিক পরিস্থিতির ওপর কোনরকম বড় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ।
এই ঘটনাটি ভারতে নতুন নয় এর আগেও ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পাওয়া গিয়েছিল । যেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল , চলতি বছরের 2022 সাল থেকে 2024 এর মধ্যে সমগ্র দেশেই প্রায় 30 টিরও বেশি ভাইরাসজনিত রোগের আবির্ভাব শনাক্ত করা হয়েছে । যেখানে বেশিরভাগই আফ্রিকান দেশ গুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিদের পারস্পরিক যাতায়াতের ভিত্তিতে এই ধরনের রোগ গুলি একের পর এক প্রচলিত হচ্ছে ।
* Mpox (Clade 1B) ভাইরাসটি কী :-
World Health Organization (WHO) এর গবেষণা সূত্রে Mpox ভাইরাসটি হল , মাঙ্কিপক্স ধরনের ভাইরাস যা মানবদেহে অসুস্থতা সৃষ্টি করে । সাধারণত এই ভাইরাসটি একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস , যা মানব দেহের একে অপরের সংস্পর্শের ফলে হয়ে থাকে । এছাড়াও পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের বস্তু বা জিনিস এর মধ্যে সংক্রমণ থাকে যা স্পর্শ করলে সে ব্যক্তি Mpox Virus আক্রান্ত হন ।
* কতজন Mpox ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ?
এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ভারতের পূর্বে হলেও বর্তমানে এই ভাইরাসটিতে কেরালার বেশ কিছু লোক আক্রান্ত হয়েছেন । এর কারণ ভাইরাসটি সংস্পর্শজনিত ভাইরাস । লোকেদের সংস্পর্শে এই ভাইরাসটি যথাযথভাবে হয়ে থাকে । লোকেদের সংস্পর্শে অর্থাৎ ত্বক থেকে ত্বক, মুখ থেকে মুখ ইত্যাদি মাধ্যমে ছড়াতে পারে ।
* Mpox ভাইরাসের মুখ্য লক্ষণগুলি কি কি ?
1. সাধারণত এই ভাইরাসটি জনগণের সংস্পর্শে অর্থাৎ ত্বক থেকে ত্বক, মুখ থেকে মুখ ইত্যাদি মাধ্যমে ছড়াতে পারে ।
2. এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে 2 থেকে 3 সপ্তাহ পর্যন্ত এক ধরনের ফুসকুড়ি হতে দেখা দেবে ।
3. আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের শারীরিক মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, দুর্বলতা, খোলা গ্রন্থি এবং জ্বরের মাধ্যমে অনুসরণ করা হয়ে থাকে ।
4. এছাড়াও এই ভাইরাসের প্রভাবে ব্যক্তির শরীরে ঘা, হাতের তালু ও পায়ের তলায় ফুসকুড়ি, মুখে ঘা অথবা ফুসকুড়ি, কুচকি ও যৌনাঙ্গ ইত্যাদির ওপর প্রভাব ফেলে থাকে ।
5. বিশেষত World Health Organization (WHO) এর গবেষণা সূত্রে Mpox ভাইরাসের মুখ্য লক্ষণ গুলি জানানো হয়েছে ।
Pingback: Delhi Weather :- আজ থেকেই স্বস্তি পাবেন দিল্লি সহ বাংলা বাসীরাও ! একটানা বৃষ্টি দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গেও ! আবহাও