Lawrance Bishnoi :- জীবন্ত পুড়িয়েই মারা হলো লরেন্সের প্রেমিকাকে ! ঘটনার পেছনের রহস্য কি ? এখুনি জেনে নিন !

Lawrance Bishnoi

Lawrance Bishnoi :- 1998 সালের রাজস্থানের কোন এক শুটিংয়ে সালমান খান বিষ্ণোইর মাতৃরূপে পূজিত হরিণকে মারার অপরাধে 2022 প্রথম দেওয়া সালমান খানকে মারার হুমকি দেন ভারতের প্রখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই । 31 বছর বয়সে একজন পুলিশ কনস্টেবলের ছেলের গ্যাংস্টারের জীবন কাহিনী সত্যি চিত্রনাট্যকেও হার মানায় । বিষ্ণোইর নেটওয়ার্ক গ্যাং ভারতের বিভিন্ন শহরগুলির পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশসহ বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে ।

সালমান খানকে মারার অভিযোগে তিনি এখন আমেদাবাদ শহরের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে বন্দী । তবে লরেন্সকে নিয়ে লোকমুখে নানান মন্তব্য উঠে আসে, শোনা যায় একজন পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে কিভাবে গ্যাংস্টার হয় ? স্বজনহারানোর কষ্ট নাকি অন্য কিছু ? যার জন্য তাকে গ্যাংস্টারে পরিণত হতে হল ।

* লরেন্সের প্রেমিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পেহনে রহস্য কি ?

ঘটনার তদন্ত সূত্রে জানা যায় লরেন্স বিষ্ণোই ছোটবেলা থেকেই সংঘর্ষ থেকে দূরে থাকতেন । তবে একজন পুলিশ কনস্টেবল এর ছেলে কুখ্যাত গ্যাংস্টার কাহিনী চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করে । লরেন্স বিষ্ণুর জন্ম পাঞ্জাবের ফিরোজপুর নামক এক গ্রামে । বিষ্ণুর একজন সম্পন্ন পরিবারের পুত্র সন্তান । কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাদের । তার বাবা হরিয়ানার সরকারি পুলিশ কনস্টেবলের কর্মকর্তা । এরই মাঝে পাঞ্জাবের এক স্কুলে পড়াশোনা চলাকালীন এক প্রেমিকার সাথে গভীরভাবে ভালোবাসায় যুক্ত হন । স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তারা একসাথে চন্ডিগড় ডিএভি কলেজেও ভর্তি হয়ে যান । তারপরই এক নতুন কাহিনী মোর নেয় ।

ভুলবশত বন্দুকের গুলিতে অভিনেতা গোবিন্দর পায়ে জখম ! আচমকা গুলি চালানোর কারণ কি সরাসরি জেনে নিন ?

বিষ্ণোই কলেজে ভর্তি হওয়ার পর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে এমনকি স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন অফ পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির হয়ে ছাত্র নির্বাচনে লড়াই করে পরাজিত হন । কিন্তু বিষ্ণোইর তার পরাজয় স্বীকার করতে রাজি ছিলেন না । তারপরেই 2011 সালে কলেজের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষিতা শুরু হয় । এরই মাঝে শোনা যায় ছাত্র নির্বাচনের পর বিষ্ণোইর বিপক্ষীয় দল মিলে তার প্রেমিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে । এরপর থেকেই লরেন্স পুরোপুরি বদলে যায় ।

প্রেমিকার মৃত্যুর বদলা নিতে অপরাধের জগতে চলে যেতে শুরু করে বিষ্ণোই । এরপর তিনি নিজস্ব একটি গ্যাং তৈরি করেন । চিকেন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার । দেশের বেশ কিছু ছাত্রনেতা তার হাতে মৃত্যু হয় । শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেন এবং তৈরি করে ফেলেন ‘007’ গ্যাংস্টার দল ।

এরপরই লরেন্স বিষ্ণোইকে 2018 সালের কোন এক মামলার অভিযোগে আদালতে হাজির করা হলে, সেখানে দাঁড়িয়েই ( যোধপুরেই ) তিনি সালমান খানকে মারার হুমকি দেন । এরপর সালমান খানের বাবা সেলিম খান 2022 সালে লরেন্সের তরফে তার পুত্রকে( সালমান খানকে ) মারার হুমকিমূলক চিঠি পান ।

* Lawrance Bishnoi সালমান খানকে মারার পেছনে কি রহস্য রয়েছে ?

1998 সালের রাজস্থানের “হাম সাথ সাথ হ্যাঁয়” ফিল্মের শুটিংয়ে সালমান খান বিষ্ণোইর মাতৃরূপে পূজিত হরিণকে মারার অপরাধে বিষ্ণই গ্যাং এর হিট তালিকায় রয়েছেন সালমান খান । সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল 5 বছর । তাই মাতৃরূপে পূজিত হরিণকে মারার অপরাধে সেই সময় থেকেই সালমান খানকে মারার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন লরেন্স । এরপরই 2022 সালে সালমান খানকে মারার হুমকি দেন ভারতের প্রখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ।

কুম্ভমেলায় মুসলিম দোকানদারদের উপস্থিতির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিলেন নাগা সাধুসন্তরা !

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top