Jamuna River Over Flooded :- সুবল বৃষ্টিপাতের ফলে বগুড়ার পার্শ্ববর্তী শারিয়া কান দিয়ে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে ক্রমশ জলের পরিমাণ বেড়েই চলেছে । গত 24 ঘন্টায় যমুনা নদীতে জলের পরিমাণ 7 সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে । যেখানে নদীরজল বিপদ সীমার 236 সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ।
অত্যাধিক পরিমাণে নদীর জল বৃদ্ধি হওয়ায় পূর্বের মতো পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিও তলিয়ে যেতে শুরু করেছে । ফলে রোপন করা সিজনের ধান, গম, মরিচ, মসুর ডাল এবং শীতকালীন সবজির মতো গুলি বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে । বাংলাদেশের জলসম্পদের কর্মীদের (বিডব্লিউডিবি) সূত্রে জানা গিয়েছে, উঁচু অঞ্চল থেকে আসা বন্যা এবং অধিক পরিমাণে বৃষ্টির কারণেই নদীর জল বৃদ্ধি পেয়েছে ।
জল বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে যমুনা নদীর বিপদসীমা 16.25 মিটার অব্দি চলে এসেছে । যেহেতু গত 27 সেপ্টেম্বর থেকেই নদীর জল বেড়ে চলেছে । গত শুক্রবার থেকেই 9 সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে জলস্তর 12.41 সেন্টিমিটারে পৌঁছোয় । যেখানে পরেরদিন শনিবার 37 সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে 12.78 সেন্টিমিটার এসে পৌঁছায় এবং রবিবার বিকেল পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণে জলস্তর 61 সেন্টিমিটার বেড়ে গিয়ে 13.39 সেন্টিমিটারে পৌঁছেছিল । তারপর সোমবার যমুনা নদীর জলশ্বর সামান্য কমে গিয়ে 57 সেন্টিমিটার পৌঁছায়, যেখানে পার্শ্ববর্তী দিনগুলিতে ভারী বৃষ্টির কারণে বাংলা নদীতেও জল বেড়ে গিয়েছে ।
ফলে বাঙালি নদীর জলস্তর বিপদসীমা থেকে 13.77 মিটারে ছিল । তবে গত 24 ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বাংলা নদীতে 29 সেন্টিমিটার নিম্নে এসে বিপদসীমা থেকে 113 সেন্টিমিটার নিচে বয়ে চলে যায় ।
প্রবল বন্যার ফলে বর্তমানে নদীর জল স্বাভাবিক পরিমাণে থাকায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলির জমিগুলিতে কৃষকরা ধান রোপন শুরু করেছে । তারা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, মসুর ডাল সহ শীতকালীন সবজির কোন কোন শুরু করে দিয়েছে ।
কিন্তু অসময়ে বন্যার কারণে রোপন করা ধান গুলি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে । নিচের জমিগুলিতে মরিচ, মসুর ডাল, লাউ কুমড়ো সহ শীতকালীন সবজি প্লাবিত হতে শুরু করেছে ।
বন্যার ফলে গোপন করা ফসলের উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজজিতপুর গ্রামের এক কৃষক ফকিরা মিয়া বলেন, “গত কয়েকদিন আগে থেকেই যমুনা নদীর পার্শ্ববর্তী জমি গুলিতে ধান রোপন করা শুরু করেছিলাম । এমনকি ধান গাছগুলোতে সবুজ পাতা হয়ে উঠে আসছিল এমন সময় বন্যার কারণে গোপন করা জমির ধান গুলি তলিয়ে যায় । জমির আশেপাশেও কিছু মরিচ এবং মসুর খেতেও জল উঠতে শুরু করেছে ।”
বাংলাদেশের বগুড়ার (বিডব্লিউডিবি) জলসম্পদ কর্মী নাজমুল হোসেন বলেন, “মুষলধারায় বৃষ্টি এবং পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আসা ঢালের কারণে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে জল বৃদ্ধি পেয়েছে ।”