Duware Tran In Arambagh :- জেলা প্রশাসন কী সত্যিই আরামবাগে দুয়ারে ট্রান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ? তাড়াতাড়ি জেনে নিন !

Duware Tran In Arambagh

Duware Tran In Arambagh :- বেশ কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে এবং DVC থেকে সীমাহীন জল ছাড়ার কারণে, আরামবাগ সহ মহকুমা গুলির খানাকুল, পুরসুরা, গোঘাট , এমনকি আরামবাগের বড় অংশেও অত্যাধিক পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে শহরতলী । এরই মাঝে জেলা প্রশাসন আরামবাগে দুয়ারে ট্রান করার সিদ্ধান্ত নেন ।

সাম্প্রতিকভাবে অত্যাধিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং DVC (Damodar Valley Corporation) থেকে জল ছাড়ার কারণে আরামবাগের মহকুমাগুলি সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো তো অত্যাধিক পরিমাণে বন্যার সৃষ্টি হয় । এই বন্যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পাকা ভবনের নিচতলা জলে তলিয়ে যায়, পাশাপাশি হাজার হাজার বাড়িঘর জলে তলিয়ে যায়, হাজার হাজার পশু পাখি জলে ভেসে যায়, গৃহহীন হয়ে পড়ে জনসাধারণ, বন্যায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিও জলে তলিয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার এলাকাবাসীদের আশ্বাস দিতে পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জনসাধারণের সঙ্গে দেখা করছেন ।

ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকাবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অভিযোগ জানায় যে, এই প্রবল বন্যায় স্থানীয় প্রশাসন যথাযথভাবে তাদেরকে সাহায্যে করতে এগিয়ে আসেনি এছাড়াও পানীয় জল, ওষুধ এবং খাদ্য-সামগ্রীর অভাবের কথা বলেছেন । এলাকাবাসীদের এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে রাজ্যের জেলা প্রশাসনকে স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে মুক্তা আর্যের অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থা গুলির সাথে সিস্টেমের মাধ্যমে দুয়ারে ট্রান (দ্বারে বন্যা ত্রাণ) করার সিদ্ধান্ত নেয় । রাজ্য সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকাবাসীদেরকে ত্রাণ সামগ্রী অর্থাৎ খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, জামা কাপড়, গবাদি পশুর খাবার, রান্না করা ও শুকনো খাবার এবং নির্মাণ সামগ্রী স্বল্প সময়ের জন্য পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন ।

Bihar Flood Alart :- বিহারের 12 টি জেলা জুড়ে বন্যা ! 13.5 লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান ! আগামীতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।

রাজ্য সরকারের অধীনে দুয়ারে প্রাণ প্রোগ্রাম চালু করা ক্ষতিগ্রস্তদের বিপুল পরিমাণে সাহায্য হয় । ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসায় সহায়তা ও ওষুধ সরবরাহ শুরু করেছেন । শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্যের ওপরও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে । এছাড়াও বন্যার পর জল কমে যাওয়ায় যে ধরনের মহামারী রোগ সৃষ্টি হয় তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা আর্যের মাধ্যমেও ব্যক্তিগতভাবে খানাকুলের 1 নং ও 2 নং ব্লক অঞ্চল গুলিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শিশু, মা, সাধারণ ব্যক্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকেও বাসনপত্র, বই খাতা, স্থানীয় জিনিসপত্র এবং জামাকাপড় হাতে হাতে তুলে দেন ।

[wpforms id=”148″ description=”true”]DVC

1 Trackback / Pingback

  1. Bangal Doctor Strike :- ধর্মঘটে ফিরেছে বেঙ্গলের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা ! ঘোষণায়, আজ থেকেই বন্ধ সরকারি কার্যক

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*