কুলু – দিল্লির বন্যার ফলে Himachal Pradesh ভূমিধসে প্রচুর লোক মারা গিয়েছে । এর ফলে তৈরি হয়েছে এক বিপর্যস্ত ঘটনা । স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছেন । বন্যার ফলে Himachal Pradesh বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । এমনকি বন্যার ফলে হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তিনতলা অট্টালিকাও ভেঙে জলের তলায় ডুবে যায় । এক সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে “ তিন তলা অট্টালিকাটি ঠিক যেন তাসের মতো ভেঙে পড়ল ।”
খবরসূত্রে গত বৃহস্পতিবার এই বন্যায় একজনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে । পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় তাদের প্রাণের বেঁচে থাকা বা না থাকা ঠিক বলা যাচ্ছে না । তবে হ্যাঁ শুধুমাত্র কুলুই নয় বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের তিনটি অঞ্চলে যথাক্রমে শিমলা জেলার – রামপুর জেলার সমেজ খাদ , মালানা খাদ ও বাগিপুলে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রীয় অঞ্চল গুলিতে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে ।
রামপুর জেলার সামেজ খাদ গ্রামের বাসিন্দা অনিতা দেবী বলেন , ” বুধবার রাত আমরা সপরিবার মিলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । এরমধ্যে হঠাৎ একটি আচমকা আওয়াজে ঘর , মাটি কেঁপে উঠল । এরপর বাইরে গিয়ে দেখি যে , পুরো গ্রাম বন্যার ধসে মুছে গিয়েছে । প্রাণভয়ে আমরা ভগবতী কালী মাতার মন্দিরে আশ্রয় নিয়ে সেখানেই রাত কাটাই । ”
আরও পড়ুন :- ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত করলেন শেখ হাসিনা !
কেদারনাথের 2013 সালের বন্যায় প্লাবিত মর্মান্তিক ঘটনায় বহু শরণার্থী ও পর্যটকরা মারা গিয়েছিল । এই পরিপ্রেক্ষিতে যেন চলতি বছরের Himachal Pradesh এরই প্রতিফলন ঘটেছে । গত বুধবার থেকেই উত্তরাখণ্ডে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় । এর ফলে মন্দাকিনী নদীর জলস্রোত ক্রমশ প্রবল ভাবে বেড়ে যাচ্ছে । এমনকি কেদারনাথ পথগামী ভিম বালি এলাকা সমেত 114 টি সড়ক ভেঙে জলে মিশে গিয়েছে । ফলে বর্তমানে সেই রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে । ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে ।
ঘটনার সূত্র জানা গিয়েছে , উত্তরাখণ্ড থেকে Himachal Pradesh যাতায়াতগামী 114 টি বিপর্যস্ত সড়কের মধ্যে মান্ডিতে 36 একটি সড়ক , শিমলায় 27 টি সড়ক , কুলুটে 34 টি সড়ক , স্পিতিতে 8 টি , কাঙ্গড়ায় 7 টি , কিন্নোরে 2 টি সড়ক বন্ধ রয়েছে । এই মর্মান্তিক বন্যায় প্রায় 655 কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে , 27 জুন থেকে 1 আগস্ট পর্যন্ত মর্মান্তিক বন্যায় 77 জন মানুষ প্রাণ হারান । এর পাশাপাশি গত মাসের 31 জুলাই রাতে হড়পা বাঁধ ভাঙার কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকার মালানা , সিমলার রামপুর , কুলুর নির্মান্দ ও মান্ডির পাথর অঞ্চল গুলিতে প্রায় 8 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছে 45 জন । স্থানীয় রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তরের CISF , ITBP কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারকার্যে লেগে পড়েছে ।