Burimar Fireworks :- দীপাবলীর মরশুমে আজও অধ্যুষিত বুড়িমার চকলেট বোম ! কে এই বুড়িমা ? খ্যাতিনামার পেছনের রহস্য কী জানেন ?

Burimar Fireworks

Burimar Fireworks :- দীপাবলীর মরশুমে ভারতীয় বাজারে আজও বুড়িমার চকলেট বোমের খ্যাতিনামা বিরাজ করছে । কিন্তু আতসবাজির অন্যান্য নামগুলির বদলে বুড়িমা রাখা হয়েছে কেন ? তার এই খ্যাতিনামার পেছনে রহস্যই কী ? কে এই বুড়িমা ? এখুনি জেনে নিন ।

দেশজুড়ে পূর্ব থেকেই আতশবাজির ক্ষেত্রে সর্বদা একটাই নাম বিরাজ করে, তার নাম বুড়িমার চকলেট বোম । দেশের অন্যান্য আতসবাজী বোমগুলির তুলনায় বুড়িমার চক্রব্যূহের এক দারুণ খ্যাতিনামা প্রচলিত । তবে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে ভারত সরকার বোমা যাবতীয় বাজিপটকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ।

তবে বর্তমানে দেশে বুড়িমা আর নেই । কিন্তু তবুও তার নামের আতসবাজি গুলি আজও বিরাজ করছে । আলো ঝলমলে দীপাবলির মরসুমে অন্যান্য আতসবাজি কোম্পানিগুলির তুলনায় বুড়িমা কোম্পানির আতসবাজি রেকর্ড ছুঁয়েছে ।

* কে এই বুড়িমা ? তার খ্যাতি নাম্বার পেছনের রহস্য কি ?

1.6. খ্যাতিনামা আতসবাজির বাজারে বুড়িমার আসল নাম ‘অন্নপূর্ণা দাস’। যিনি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়ে সংসার চালানোর তাগিদে আতসবাজির ব্যবসা শুরু করেছিলেন । মূলত 1948 সালের দেশভাগে উত্তপ্ত দেশের চলাকালীন সময়ে দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে তার স্বামী মারা যান । দুইজন সংখ্যা সন্তানকে নিয়ে তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ।

2.6. এরপর তিনি নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন । ভারতে এসে তিনি সংসার চালানোর জন্য সর্বপ্রথম বিড়ির ব্যবসা চালু করেন । কয়েকদিন করার পর সেই ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায় । তারপর তিনি সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন । সেই ব্যবসাতেও তিনি সফল হতে পারেননি ।

3.6. এরপরই সর্বশেষ তিনি দীপাবলীর মরশুমে বাজি-পটকার দোকান দেন । তিনি ভেবেছিলেন যে এটাই তার শেষ চেষ্টা । বাজে গুলি তিনি নিজের হাতে বানিয়েছিলেন । বাজিগুলি আয়তনে গোলগোল ও ছোটো প্রকৃতির ছিল । যেগুলিতে আগুন দিলেই বেশ শব্দজোরে ফাটতো । এরপর তিনি সেই বাজির নাম দেন ‘ চকলেট বোম ‘।

4.6. সেই বাজি-পটকার ব্যবসায় তার সাফল্যতা আকাশ ছোঁয়া দেয় । মার্কেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ‘ বুড়িমার চকলেট বোম ‘। ইতিমধ্যেই তার নাম আতসবাজির মার্কেটে ‘ ব্রান্ড’ হয়ে যায় । পাশাপাশি তার অভাব অনটন সংসারে উজ্জ্বলতা আসে । ব্যবসায় উপার্জন করা টাকা দিয়ে তিনি হাওড়া জেলার ‘ পিয়ারীমোহন স্ট্রীটে ‘ তৈরি করেন স্থায়ী বাসভবন ।

5.6. তারপর 1995 সালে অন্নপূর্ণা দাস ‘ওরফে’ বুড়িমা পরলোক গমন করেন । তারপর তার ছেলেরাই সেই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যায় । এরই মাঝে 1996 সালের ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী শব্দবাজি বাজি-পটকা নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর বুড়িমার ফায়ার ওয়ার্কস কোম্পানি চকলেট বোম তৈরি করা বন্ধ করে দেয় । কিন্তু তার পরিবর্তে সরকারি সূত্রে অন্যান্য ধরনের বাজি পটকা বানানো শুরু করে ।

6.6. তবে বর্তমানে বুড়িমার চকলেট বোম কোম্পানি আজও আতসবাজি মার্কেটে সর্বোচ্চতা লাভ করে চলেছে । দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন হাওড়ার বেলুড়ে বুড়িমার চকলেট বোম কেনার জন্য । 

কুম্ভমেলায় মুসলিম দোকানদারদের উপস্থিতির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিলেন নাগা সাধুসন্তরা !

ফের হুমকি খালিস্তানি নেতা পান্নুন ! যাত্রীদেরকে 1-19 নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে উঠতে বাঁধা !

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top