Bihar Flood Alart :- গত শনিবার 28 সেপ্টেম্বর প্রবল বৃষ্টির ফলে বিহারের সমস্ত অঞ্চলগুলিতে বন্যা সৃষ্টি হয় । এই বন্যায় বিহারের সংলগ্ন 12 টি জেলায় তথা – পাটনা, হারান, ভোজপুর, বক্সার, মুঙ্গের, ভাগলপুর সহ গঙ্গা নদীর তীরেও জলমগ্ন হয়ে বসবাসকারী 13.5 লক্ষ জনগণ আকস্মিকভাবে বন্যায় প্রাণ হারান । এই বন্যায় বিহারের সংলগ্ন অঞ্চল গুলিতে সমস্ত কৃষিজমি, ঘর-বাড়ি, নদী-নালা ইত্যাদি তলিয়ে যায় । পাশাপাশি Emergecy বিভাগের পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায় ।
এই বন্যার প্রকোপ বিশেষভাবে দেখা দিচ্ছে নেপালের ক্যাচমেন্ট এলাকায় অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে । নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি নদীগুলিতে জল বেড়ে যায় বিপদ সীমার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের । এলাকাবাসীদের আশঙ্কা বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে থাকলে বন্যায় ভেসে যাবে শহরতলীর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলও ।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিহার কর্তৃপক্ষ গত শনিবার সকালে গণ্ডক নদীর উপর বাল্মিকীনগর ব্যারেজে প্রায় 6.87 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় । ঠিক একইভাবে পার্শ্ববর্তী কোষী বীরপুর ব্যারেজের জল সম্পদ বিভাগ নদী ব্যবস্থার চাপ হ্রাস করতে এবং ভয়াবহ বন্যার সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রায় 7.54 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় ।
এছাড়াও আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে, অধিকতর পরিস্থিতিতে দক্ষিণ গুজরাট হতে উত্তর-পশ্চিম বিহারের দিকেও 28 সেপ্টেম্বর থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । তবে 30 সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে ।
গতদিনের ভয়াবহ বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিহার সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জেলার জনসাধারণকে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর IMD বিভাগ উচ্চ সতর্কতা জারি করার ঘোষণা করা হয়েছে ।
Pingback: Duware Tran In Arambagh :- জেলা প্রশাসন কী সত্যিই আরামবাগে দুয়ারে ট্রান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ? তাড়াতা
Pingback: Jamuna River Over Flooded :- বগুড়ার যমুনা নদীতে জলের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে ! বন্যা সতর্কতায় প্রশাসন কি পদক্