Bangladesh news:- বাংলাদেশের এই রূপ বর্বরতা দেখে লোকমুখে এই কথা ওঠে, এটাই কি বাংলাদেশের আসল পরিচয় ? এতদিন ধরে বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের পর এবার আদিবাসীদের ওপর হামলার খবর ইতিমধ্যেই সামনে আসছে । যেখানে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন এক গোষ্ঠী আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা শুরু হয় ।
উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মাটিঝিল এলাকায় । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেশ কিছু আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে 11 জন ছাত্র-ছাত্রী গুরুতরভাবে জখম হয়েছে । খবর মাধ্যমে জানাই গিয়েছে, উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশের ‘স্টুডেন্ট ফর সফরেরেন্টি’ নামে একটি মুসলিম ছাত্রলীগের সংগঠনের সদস্যরা সেখানকার সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায় ।
খবর মাধ্যমে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের ঢাকার মাটিঝিল এলাকার সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায়ের নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা পাঠ্যপুস্তক এর পিছনের কভার থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে এনসিবিডির সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছিলেন । ঠিক একইভাবে অপর দিকের আরও একটি দল তাদের এই মিছিলের সমর্থন করেছিল ।
বাংলাদেশ খবর সূত্রে এও জানা গিয়েছিল, পাঠ্যপুস্তক এর পিছনের কভারে লেখা আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল, একটি গাছকে চিহ্নিত করে । যা পুস্তকের পাঁচটি পাতানিয়ে লেখা হয়েছিল । যেখানে একটিতে মুসলিম, হিন্দু খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী সহ বাংলাদেশের জাতীয় গত সম্প্রদায়ের জন্য একটি শব্দ খোদাই করা হয়েছিল । উক্ত ছবির মাধ্যমে পুস্তকে লেখা ছাত্রছাত্রীদের কাছে এও বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’ । তবে এর আগেও 12 জানুয়ারি এনসিভিটিকে ঘিরে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টিদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছিল ।
বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে উক্ত হামলার 11 জন ছাত্র আহত হয়েছে । এবং তাদের মধ্যে গুরুতর ভাবে যখন হয়েছেন 2 জন, যাদেরকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে । এর পাশাপাশি স্টুডেন্ট ফর সফরেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়া আদিবাসী শব্দটিকে রাষ্ট্রের বিদ্রোহীতা বলে বর্ণনা করেন । ঘটনার বিরোধিতা করে আদিবাসীদের সংগঠন এই ঘটনায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে ।