Bangladesh Murder Case ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) :- বাংলাদেশের ঢাকা অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তোফাজ্জলের ওপর সেই বিদ্যালয়ের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তার ওপর মিথ্যে চুরির বদনাম ছড়িয়ে তাকে রাতের অন্ধকারে দারুন ভাবে আঘাত করা হয় । এরপর দিন সকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার তোফাজ্জলের মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের 6 জন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীকে হেফাজতে করেছেন ।
উক্ত ঘটনায় জানা গিয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা রাতের অন্ধকারে এক রুমে নিয়ে গিয়ে তাকে মোবাইল চুরির মামলায় দোষারোপ করতে থাকে । এরপরই সেখানকার শিক্ষার্থীরা তার ওপর মারধর শুরু করতে থাকে । এরই মাঝে সেই মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত তোফাজ্জল তার প্রতিবেশীকে ফোন দিলে পরে । সেই শিক্ষার্থী গণ তাকে দোষী বলে জানায় ।
*উক্ত ভিডিও ফুটেজে তোফাজ্জলের ওপর হত্যার সমগ্র ঘটনাটি রয়েছে :-
তোফাজ্জল সেই ফোনে তার প্রতিবেশীকে নিজের প্রাণ বাঁচানোর ভিত্তিতে বলে ওঠে “আমাকে মারতেছে ভাই আমাকে বাঁচান ।” তারপর তোফাজ্জল সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার প্রতিবেশীর ফোনে আলাপচারিতা করার পর সে শিক্ষার্থীরা, তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে মিথ্যে চুরির অপবাদে নানান ধরনের অভিযোগ দায়ের করতে থাকে । প্রতিবেশী তার পরিচয় জানালেও সে শিক্ষার্থীরা তার অনুরোধে সহমত হননি । এরপর তাকে 10 টা নাগাদ এক রুমে তাকে আটক করে কয়েক দফায় পিটিয়ে পিটিয়ে মারধর করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে ।
এরপরই মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । এরপরে তার মৃত্যুর বিরুদ্ধে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বাংলাদেশ থানায় অভিযোগ করেন । উক্ত অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার তদন্ত করলে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 6 জন শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ থানার হেফাজতে নিয়ে আসা হয় । এছাড়াও সেই রুমের সিসিটিভি ফুটেছে সেই যুবককে হত্যা করার সকল ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় ।
গ্রেফতারিত 6 জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন , পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী জিয়া লাল আহমেদ , মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমনের পাশাপাশি রয়েছে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞানের ছাত্র মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আওসান এবং ভৌগোলিক বিভাগের আল হোসেন সারজিয়াদ ও ওয়াজিবুল আলম শিক্ষার্থীরা উক্ত ঘটনায় শামিল ছিল ।