Tista Project :- ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত করলেন শেখ হাসিনা !

তিস্তা ব্যারেজ :- ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে Tista Project বাস্তবায়িত করার জন্য এক বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে । কিন্তু ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্বাভাবিক থাকলেই চীনের সঙ্গে এক অন্যতম লড়াই চলছে । তবে এই বছরেই বিনিয়োগকারী বেজিং তিস্তা প্রকল্প সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশকে । তবে এই নিয়ে ভারী আপত্তিকর জানায় দিল্লি সরকার ।

 এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের মে মাসেই ভারতের বিদেশসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাজান মাহমুদ ও মাসুদ বিদ মোমেনের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন । এরপরেই বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী স্বরূপ ঘোষণা করে দেয় , তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে পরিকল্পনাটি নেওয়া হয়েছে তাতে বিশেষ ভাবে অর্থ দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন ।

* আরও পড়ুন :- বাংলাদেশ বাসিন্দাদের জন্য নূন্যতম ই মেডিকেল ভিসা চালু করছে ভারত সরকার …

*তিস্তা প্রকল্পের বর্তমান অবস্থান কোথায় ? 

তিস্তা নদীর এই বিরাট প্রকল্প বর্তমানে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপকূলীয় সীমানা বরাবর ১ কিলোমিটার অন্তর লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্দা উপজেলার দোয়ানিতে তিস্তা নদীর ওপর Tista Project রয়েছে । এই প্রকল্পের ফলে নীলফামারী , রংপুর ও দিনাজপুর জেলার প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার সমেত হেক্টর জমিতে সেচব্যবস্থাপনায় এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে । এই প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণসহ পরিচালনায় রয়েছে বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন দপ্তর ।

*আরও পড়ুন :- স্বল্প খরচে কাঠের সাইকেল বানিয়ে চমৎকার করে দিল উত্তরবঙ্গের এক স্কুল ছাত্র …

*তিস্তা প্রকল্পের ইতিহাস :- 

১৯৩৭ খিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার এই পরিকল্পনাটি গ্রহণ করলেও বাস্তবিকভাবে পরিকল্পনাটি ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে গ্রহণ করা হয় । বাংলাদেশের জলজ  উন্নয়ন দপ্তর ও বাংলাদেশ জনগণের সহায়তায় ন্যূনতম প্রযুক্তির সাথে তিস্তা ব্যারাজের বর্তমান স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে এর নির্মাণ কাজের পাশাপাশি ১৯৮৪-৮৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পটি হাতে আসে । সাধারণত তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ৬১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও তার গেট সংখ্যা রয়েছে ৪৪ টি । এছাড়াও হেড ক্যানেলগুলির রেগুলেটর রয়েছে ১১০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং গেট ৮ টি । এই নিয়ে মোট ৫২ টি গেট রয়েছে । ১৯৯৮ সালে জুন মাসের প্রথম পর্যায়ে যেই নির্মাণ কার্য শেষ হয়েছিল তাতে প্রায় ৯৬৯.৫৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল ।

*তিস্তা প্রকল্পের সুবিধা :- 

এছাড়াও এই প্রকল্পে বিশেষভাবে জল নিষ্কাশনের ফলে বাৎসরিক খরা পরিস্থিতিতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রংপুর , দিনাজপুর , মেদিনীপুর  সমেত আরও বিভিন্ন এলাকার October,July মাসে ফলনশীল শস্যকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে । এর পাশাপাশি এই প্রকল্পে প্রতিবছর বর্ষাকালের বন্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক সাহায্য করে ।

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

 

Scroll to Top