Gold News, আগামী 10 বছরের মধ্যে কোন ধাতু সোনার চাহিদাকে পিছিয়ে দেবার চেষ্টায় রয়েছে?

Gold News:- আগামী 10 বছরের মধ্যে সোনার চাহিদাকে পিছনে ফেলে দিতে আসতে চলেছে এক নূন্যতম ধাতু । ভারতে যার মূল্য 11 লক্ষ টন থেকে 20 লক্ষ টন অব্দি পৌঁছতে পারে । এই ধাতুর সৌরশক্তি ও বায়ু শক্তির ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়ে থাকে ।

এখনও যারা যারা সোনা নিয়ে এত ভাবছেন, এত গর্ব করছেন, তারা আগামী ১০ বছর পরে এই সব নিজের থেকেই ঘরের কোণে ফেলে রেখে দেবেন । সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই ধাতুটি সোনা নয়, রুপও নয় একেবারেই আলাদা ধাতু । তবে আগামীতে সেই ধাতুকেই সোনা ও রুপোর ন্যূনতম ধাতু হিসেবে ব্যবহৃত হবে ।

তাই আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো মনে করছেন যে আগামী 10 বছরের মধ্যে এই বিশেষ ধাতুর চাহিদা তুলনায় মূল্য অত্যাধিক হতে পারে । না ! আপনারা একেবারেই ভুল ভাবছেন, এই ন্যূনতম ধাতু অনেকটা রুপোর মতো হলেও এই ধাতুর দাম সোনার তুলনায় অনেকটাই কম । বিশেষত ধাতুটি পিতল, রুপো এবং অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতু মিশ্রণের সঙ্গে ব্যবহৃত হয় ।

এই ধাতুর নাম হল জিঙ্ক বা দস্তা । বর্তমানে ভারতে দস্তার চাহিদা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । আন্তর্জাতিক দস্তা সংস্থা (International Zinc Association – IZA) জানিয়েছেন, বর্তমান ভারতে দস্তার ব্যবহার হয় 11 লক্ষ, যা আগামী 10 বছরের মধ্যে 20 লক্ষ টন অব্দি পৌঁছতে পারে ।

গত বছর 2024 সালে জিঙ্ক কলেজের এক আলোচনা সভায় IZA-র নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু গ্রিন উল্লেখ করেন, “ভারতে প্রতিবছর প্রায় 11 লক্ষ টন দস্তা ব্যবহৃত হয়, যা দেশটির বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে । আগামী এক দশকের মধ্যে এই চাহিদা বেড়ে 20 লক্ষ টনে পৌঁছতে পারে । তবে এর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ভারতে দস্তার ব্যবহার সোনার তুলনায় অনেক বেশি । দেশটিতে প্রতি বছর 700 টনেরও বেশি সোনা ব্যবহৃত হলেও, দস্তার ব্যবহার তার চেয়ে বহুগুণ উচ্চ ।”

বিশ্বব্যাপী অটোমেশন শিল্পে ব্যবহৃত স্টিলের প্রায় 90-95 শতাংশই গ্যালভানাইজড (Galvanized), যা দস্তার প্রলেপ দিয়ে তৈরি । তবে ভারতে এই হার মাত্র 22 শতাংশ । বিশেষত দস্তার প্রলেপ স্টিলকে মরিচা থেকে রক্ষা করে এবং এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে । IZA-র নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু গ্রিন জানিয়েছেন, সরকার গ্যালভানাইজড রডের জন্য নির্দিষ্ট মান নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করছে, যা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে ।

এছাড়াও, সৌরশক্তি (Solar Energy) এবং বায়ুশক্তি (Wind Energy) ক্ষেত্রে দস্তার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, 2030 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সৌরশক্তি শিল্পে দস্তার চাহিদা 43 শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে বায়ুশক্তি ক্ষেত্রে এই চাহিদা দ্বিগুণ হবে ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*