Ration scam:- রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন সিবিআই আদালতের বিচারক । এর বিরুদ্ধে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কীভাবে একজন সাক্ষীকে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলো ? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মী হিসেবে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বেতন নির্ধারণ করতে পারে না । ইডির কার্যক্রম নিয়ে এমন মন্তব্য মামলার তদন্তে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে ।
শনিবার কলকাতার বিচারভবনে স্পেশাল সিবিআই কোর্টে বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে রেশন দুর্নীতির মামলায় শুনানি হয় । ED (Enforcement Directorate) এই মামলায় চালকল মালিক হিতেশ চন্দক, সুব্রত ঘোষ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শান্তনু ভট্টাচার্য ও আরও এক ব্যক্তির 14 দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায়।
এরপর শান্তনু ভট্টাচার্যের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, 2023 সাল থেকে এই দুর্নীতি মামলার ওপর তদন্ত হয়ে আসছে, কিন্তু মামলার কোনও সুরাহা পাওয়া যায়নি । তিনি দাবি করেন, আমি একজন পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং তাঁর এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই আমার । কিন্তু তা সত্ত্বেও তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই 28 বার হাজিরা দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন:- আগামী 15 জানুয়ারি ‘জুলাই বিপ্লবের’ ঘোষণা ! আন্দোলনে বিএনপি নেতার কী দাবি ?
এছাড়াও শুনানির সময় বিচারক প্রশ্ন করেন, “চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা কেন ডিমান্ড ড্রাফটে টাকা ফেরত দিচ্ছেন? ইডি কি এই কোম্পানিগুলোর মালিক ?” এরপর ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সরকারি প্রতিষ্ঠান ।
তিনি আরও বলেন, “পিএমএলএ আইনে গ্রেপ্তার এবং তদন্তের সমস্ত ধারা স্পষ্ট রয়েছে । তাহলে এই গ্রেপ্তার কোন আইনের ভিত্তিতে হয়েছে ?” প্রশ্নের উত্তরে ইডির তদন্তকারী অফিসার সাফাই দিয়ে বলেন , তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করেছেন ।
পাশাপাশি এই মামলায় ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বিচারক প্রশ্ন তোলেন । যার জন্য আপাতত আদালতের রায় স্থগিত রাখা হয়েছে ।
আরও পড়ুন:- আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারির মধ্যেও গত 9 দিনের বক্স অফিসে 760 কোটি টাকা আয় !