Bangladesh News (রামপুরা):- ভারতের বিরুদ্ধে গত রবিবার বাংলাদেশের ঢাকা অঞ্চলে আগরতলা অভিযানের ডাক দেয় বিএনপি নেতা দল । এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বহু সংখ্যক লোক যুক্ত হন । মিছিলটি শুরু হয় সেই জেলার নয়া পল্টন সড়ক থেকে । তবে বিএনপি নেতার দল সীমান্তের কাছাকাছি আসার আগেই বাংলাদেশ পুলিশ সরকার মিছিল আটকানোর জন্য বেরিকেড দিয়ে দেন ।
এই পরিস্থিতি দেখে গত সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । তবে অন্তর্ভুক্তি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তির উৎস দাঁড়ায় খালেদা জিয়ার বিএনপি দল । গত রবিবারের এই বিএনপি দলের কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলগুলিও যোগ দেয় । তবে ভারতীয় দূতাবাসের সংলগ্ন সীমান্তে আসার আগেই (রামপুরাম) বাংলাদেশ পুলিশ কর্মীরা বেরিগেট দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয় । মিছিলটি থামানোর পর প্রতিনিধি দল ভারতীয় দূতাবাসের অধীনে একটি চিঠি জমা দেয় ।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচারের অভিযোগ এবং ইসকন মহাপ্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে ভারত এবং বাংলাদেশের চলতে থাকা পৌরাণিক সম্পর্কের মধ্যে ভাঁজ পরে যায় ।
ভারত সরকার বাংলাদেশের সরকারকে প্রতিনিয়ত অনুরোধ জানাচ্ছে, যাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপত্তায় থাকতে পারেন । পাশাপাশি চিন্ময় কৃষ্ণ মহাপ্রভুকে আইনি ব্যবস্থাপনা নিয়ে জামিন করার জন্য বলা হয়েছে । কিন্তু ভারতের এই অনুরোধে বাংলাদেশ কোন মন্তব্য প্রকাশ করেননি । কারণ অন্তর্বর্তী সরকার ইউনুস প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নন ।
আরও পড়ুন:– পর্দা ফাঁস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, আল-জোলানির মাথার বিনিময়ে 10 মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা ।
আবার অপরদিকে এও দাবি শোনা যায়, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই আছেন । এরপরই গত রবিবার আগরতলা অভিযানে বাংলাদেশের একাধিক সমষ্টিগত বিএনপি নেতাদল সহকারী দূতাবাসের সামনে গিয়ে বেরিগেট ডাঙিয়ে প্রবেশ করে । টানা এক ঘণ্টা ধরে নয়া পল্টন থেকে রামপুরা সেতু পর্যন্ত চলতে থাকে মিছিল । যদিও এ আন্দোলনে একাধিক বিএনপি সদস্যরাও গ্রেপ্তার হয়েছেন । নেতা দলের এরূপ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে নিন্দা প্রকাশ করেন বিদেশ মন্ত্রক ।
এছাড়াও গত রবিবার ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেওয়া বিএনপি নেতা দলের স্মারকলিপিতে আগরতলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে । সেই স্মারকলিপিতে বিএনপি নেতা দল বলেছিলেন, সমতা, পরস্পরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মানের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য । তবে তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে দু’দেশের স্থিতিশীলতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সংগতি ।
রবিবার বিএনপির মিছিলের জন্য ঢাকার রাজপথ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে হড়ে। । পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, রামপুরা সেতুর কাছে এক ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল মিছিলের জন্য ।
আরও পড়ুন:- চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর আসল কারণ জানেন কী ?