Modi-Trudeau :- “খালিস্তানিরা শিখ সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধি নন !” মোদির কূটনৈতিক চাপে নতি স্বীকার ট্রুডোর !

Modi-Trudeau (ভারত,কানাডা) :- বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলার পাশাপাশি আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর পাওয়া গেল কানাডায় । সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনমূলক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে গত সোমবার দেশের পার্লামেন্টের এক সভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া প্রতিক্রিয়ার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর গলার স্বর কিছুটা নেমে যায় । পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “খালি স্থানের আর্থিক সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধি নন।”

এর পাশাপাশি বিগত দিনগুলিতে বিগত দিন গুলিতে কানাডার ব্র্যাম্পটন শহরে একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানি চরমপন্থীরা আক্রমণ করে । খালিস্তানিদের এই আক্রমণের পরিপেক্ষিতে গত বুধবার কানাডিয়ান পার্লামেন্টে দীপাবলি ও শিখদের ‘বন্দিছোড়’ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কানাডার সরকারের নিরাপত্তার ওপর ।

ভারত সরকারের উক্ত মন্তব্যের জবাবে গত 30 এক আলোচনা সভায় ট্রুডো মন্ত্রিসভার সদস্য ডেভিড মরিসন বলেন, মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ অনুযায়ী খালিস্তানিদের উপর হামলা হয়েছিল এবং ভীতি প্রদর্শনের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল । উক্ত হামলার খালিস্তানিপন্থী হরিপদ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগে ভারতের কমিশনারের বিরুদ্ধে ট্রুডো সরকার নিশানা করেছিলেন ।

ভারত আমার সত্যিকারের বন্ধু !” মোদির সঙ্গে ফোনকলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রশংসা !

কানাডিয়ান সরকারের অভিযোগের পর গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনরূপ সাহায্য না পাওয়ায় ভারতীয় দূতাবাস যাবতীয় সামাজিক দিক থেকে জীবনব্যাপী অর্থাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় । এছাড়াও ভারতের আইনজীবীদের মুখে Khalistani নেতা নিজ্জরকে একজন সন্ত্রাসবাদী বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল ।

এরপর 2023 সালের 18 জুন কানাডার একটি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার স্যারের বাড়ির সামনে তাকে হত্যা করা হয় । এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই কানাডিয়ান ট্রুডো সরকার ভারতকে খালিস্তানি নেতা নিজ্জরের মৃত্যুর একমাত্র অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করেন ।

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ট্রুডো সরকারের এই অভিযোগের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের হিংসা সৃষ্টি হয় । ইতিমধ্যেই ট্রুডো সরকারের এই অভিযোগের কড়া জবাবে ভারত সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, “ভারতকে অখন্ড করতে যাওয়া মৌলবাদী নেতা খালিস্তানপন্থীকে আশ্রয় দিচ্ছেন কানাডিয়ান সরকার ।” ভারত সরকারের এই জবাবের অভিযোগে কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জানান, “ভারতের নয়া দিল্লি কানাডার সর্বভৌমত্বের উপর হামলা করার চেষ্টায় রয়েছে ।”

 আরজি কর মামলায় CBI-এর বক্তব্য ! “কেবল ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, আরও অনেকে জড়িত !”

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top