Salman Khan (কৃষ্ণসার হরিণ) :- রাজস্থানের এক হিন্দি ফিল্মের শুটিংয়ে 1998 সালে অভিনেতা সালমান খানের হাতে বিষ্ণোই পরিবারে মাতৃরূপে পূজিত কৃষ্ণসার হরিণ নিহত হয় । সেই হরিণের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ‘সালমানকে’ মারার হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই । এরই মাঝে ‘ সালমান সেই কৃষ্ণসার হরিণের হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে জরিমানা হিসেবে বিষ্ণোই সাম্প্রদায়কে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন’ , যা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের খুড়তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই দাবি করেন ।
প্রতিনিয়ত দিনের পর দিন সালমান খানের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মধ্যে পৌরাণিক সংঘর্ষতা আরও প্রবল হয়ে উঠছে । সালমানকে দেওয়া বিষ্ণোইয়ের হুমকি এবারই যে প্রথম তা নয় , এর আগেও একাধিক বার সালমানকে ‘ প্রাণে মারার ‘ হুমকি দেওয়া হয়েছিল । এর জেরে রয়েছে 1998 সালে রাজস্থানে “হাম সাথ সাথ হ্যাঁয়” নামের ফিল্ম চলাকালীন একটি হরিণকে মারার অভিযোগে একের পর এক তার ওপর হামলার হুমকি চলতে থাকে ।
বিষ্ণোই পরিবারে মাতৃরূপে পূজিত কৃষ্ণসার হরিণকে গুলি করে মারার ঘটনাটিতে সালমানকে অভিযুক্ত করা হলেও , পরবর্তীতে তিনি এই অভিযোগকে অস্বীকারও করেছিলেন । এদিনের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্য লরেন্স বিষ্ণোইয়ের খুড়তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই বলেন, ‘কৃষ্ণসার হরিণকে মারায় অভিযুক্ত সালমান খান গত কয়েক বছর আগে সেই হরিণের হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে জরিমানা হিসেবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিষ্ণোই সাম্প্রদায়কে একটি Blank Check দিয়েছিলেন ।’
রমেশ বিষ্ণোই আরও বলেছেন, ‘সালমানের সদস্যরা নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় হাতে করে একটি খালি ‘চেক বই’ নিয়ে আসতেন এবং তারা এও বলেছেন , হরিণের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে এখানেই শেষ করার জন্য বিষ্ণোই পরিবার যত টাকা দাবি করবেন তাই দিতে রাজি ।’ সদস্যদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়ে রমেশ বলেন, “টাকার পেছনে ছুটলে তো আমরা কবেই সেই দাবি মেনে নিতাম ।”
অপরদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সালমান খানের বাবা সেলিম খান বলেন, ‘আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই সালমানকে টার্গেট করা হচ্ছে । লরেন্সের পরিবারে ভারতের পাঞ্জাবে প্রায় 110 একর জমে রয়েছে, তাই ভুল মন্তব্যে কারোর ওপর জুলুমবাজি দেখিয়ে টাকা রোজগার করাটা মোটেই ঠিক নয় ।’ ইতিমধ্যেই সেলিম খানের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে রমেশ বলেছিলেন, “রাগের মাথায় তখন আমাদের রক্ত টগবগ করছিল ( উস ওয়াক্ত হামারা খুন খল রাহা থা ) ।”
এছাড়াও এবিপি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে লরেন্সের বিরুদ্ধে সেলিম খান তার মতামত প্রকাশ করে বলেছেন, “ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না । যেটা হয়েছে তার জন্য ন্যায্য মূল্য প্রযোজ্য, যা সালমান দিতে স্বীকার করেছেন । যেখানে তিনি সেই অপরাধ স্বীকার করেননি । ছোটবেলা থেকেই সালমানের কোন প্রাণীকে মারার মনোভাবনাই তার মস্তিষ্কে ওঠেনি ।”
ভুলবশত বন্দুকের গুলিতে অভিনেতা গোবিন্দর পায়ে জখম ! আচমকা গুলি চালানোর কারণ কি সরাসরি জেনে নিন ?