Mahakumbha 2025 :- কুম্ভমেলায় মুসলিম দোকানদারদের উপস্থিতির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিলেন নাগা সাধুসন্তরা !

Mahakumbha 2025

Mahakumbha 2025 (হরিদ্বার) :- বিগত বছরগুলিতে হরিদ্বারের কুম্ভ মেলায় অনবরত মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা দোকানদারি করে আসছিল । এরই মাঝে সেই ধামের অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদের একটি শাখা আগামী বছরের মুসলিম দোকানদারদের মেলায় দোকান দেওয়া নিয়ে বিরোধ তোলা হয় । যদিও মহাকুম্ভ অনেক দেরি আছে ।

সেই শাখার সাধু সন্তরা হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্তব্য করেছেন, মেলায় উপস্থিত কোনো রকম অহিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের দোকান দিতে দেওয়া হবে না । যেহেতু আগামী বছরের মকর সংক্রান্তিতে প্রতিবছরের ন্যায় এলাহাবাদের মহাকুম্ভ শুরু হতে চলেছে । তাই আগে থেকেই প্রয়াগরাজের এক আলোচনা সভায় অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ অহিন্দু সম্প্রদায়কে চেতাবনী দিয়েছে, তারা মেলায় কোনরকম খাবারের দোকান দিতে পারবেন না ।

উক্ত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নিরঞ্জনী আখাড়া গোষ্ঠীর সাধু স্বামী রবীন্দ্র পুরী বলেছেন , মহাকুম্ভের আগেই সরকারকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে মহাকুম্ভে কোন সম্প্রদায়ের লোক খাবার বিক্রি করবেন , কারা দোকান করবেন । তাই মেলা চলাকালীন যদি কোন অহিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন খাবারের দোকান দিয়ে থাকেন তাহলে সনাতন ধর্মের লোকজন থেমে থাকবেন না । ধামের উপস্থিত নাগা সাধুরা তাদেরকে উচিত শাস্তি দিতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না ।

রীতিমতো পয়সা উসুল ! ভিস্তা ডোমের সাথে পাহাড়ের সৌন্দর্যের রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করুন …

উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ এর সরকার মহাকুম্ভ উপলক্ষে সমগ্র শহরটিতে এলাহি ব্যবস্থা করে থাকেন । বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ ও যানবাহনের সুবিধার জন্যে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন । বিগত বছরগুলি থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত মেলায় সেরকম কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়নি সরকারকে । তবে বর্তমানে হরিদ্বারের নাগা সাধুসন্তরা এক নতুন মোর্চা তৈরি করেছেন । যেখানে আগামী বছর থেকে মহাকুম্ভে কোনরকম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক খাবারের দোকান দিতে পারবেন না ।

রবীন্দ্র পুরী আরও বলেছেন , মেলায় উপস্থিত সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মহাকুম্ভে অংশগ্রহণকারী লোকজনদেরকে আগে থেকেই চিহ্নিত করা হবে । এর পাশাপাশি সরকারের কাছে আমাদের আরও দাবি রয়েছে , কোনরকম মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক যাতে মহাকুম্ভে খাবার কিংবা অন্যান্য দোকান দিতে না পারে । দীপাবলীর আগে থেকেই উক্ত দাবিটিকে যোগী আদিত্যনাথ এর সাথে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

এছাড়াও নির্মহী আখাড়ার সাধু মহন্ত রাজেন্দ্র দাসও রবীন্দ্র পুরীর উক্ত মন্তব্যে স্বমত হয়ে একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন, কোনরকম হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে তাদের ধর্মীয় স্থানে যায় ? যদি তা না হয় তাহলে, তারা কেন হিন্দুদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ?

ভারতের সীমান্ত (প্যানগং) এলাকায় চীনের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন !

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top