Anveshi Jain (মধ্যপ্রদেশ) :- ভারতীয় অভিনেত্রী অন্বেষী জৈনের সাফল্যের বিবরণ ভারতীয় অন্যান্য শিল্পীদের থেকে অনেকটাই আলাদা । তাকে ছোটবেলা থেকেই ফিগারের দিক থেকে অনেকটাই Body Shemming এর সম্মুখীন হতে হয়েছিল । এই নিয়ে পরবর্তীতে লোকমুখে তাকে অভিশাপের কটাক্ষ মন্তব্য করতেও শোনা যায় । যার জন্য তার পরিবারের সবাই তাকে আবৃত পAnveshi রে থাকতে বলতো ।
এরপরে তিনি স্কুল শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তার অভিনয়ের আগ্রহী জেগে ওঠে । তিনি ভোপাল থিয়েটারেও অভিনয় করেছিলেন । যার ফলে তাকে প্রমাণ করার জন্য মুম্বাই আসতে হয়েছিল গান্ধীবাতের ওয়েব সিরিজে কাজ করার পরিপ্রেক্ষিতে । কিন্তু সেই থিয়েটার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে । এরপর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং ইন্ডাস্ট্রিও তাকে একই পজিশনে নিয়ে যায় ।
সামাজিক মতবিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অন্বেষী তার নিজের শারীরিক চিত্র পরিবর্তনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন । গান, অভিনয়, চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি নানান কাজ করেছিলেন । যার ফলে তার কঠোর পরিশ্রমের ফলও দেখা দেয় । নানান জায়গায় আজ তার প্রকল্প ছড়িয়ে রয়েছে । অভিনেত্রী হিসেবে তাকে ভারতীয় কন্নড় চলচ্চিত্রের মার্টিনে দেখা যাবে । পাশাপাশি তিনি তেলেগু চরিত্র একটি অংশ নিয়েছেন ।
Natasha-Hardik :- নাতাশা এবং হার্দিকের বিচ্ছেদের কারন কি ? কি নিয়েই বা তাদের বিচ্ছেদ হল ?
পারিবারিক ব্যবহারিকতার পরিপ্রেক্ষিতে অন্বেষী জৈন বলেন , “আমার শারীরিক গঠনের জন্য আমার পরিবার সবসময় আমাকে সালোয়ার কিংবা কামিজ পড়তে বলতো । আমি একটি রক্ষণশীল পরিবার থেকে জন্মগ্রহণ করি । আমার বাবা এবং মা উভয়েই অধ্যাপক । আমাদের বাড়িতে মেয়েদেরকে সবসময় ভালো ব্যবহারে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হতো ।”
“তার কারণ ছোটবেলা থেকে আমার শারীরিক গঠন অন্যান্য মেয়েদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা । এমনকি পার্শ্ববর্তী লোকেরাও আমাকে অন্য চোখে দেখতো । তাই পরিবার মনে করেছিল যে অন্যান্য লোকেরা আমাকে প্রথম লক্ষ্যেই নজর দেবে । তাই আমাকে সব সময় সালোয়ার কিংবা কামিজ পড়ে থাকতে বলা হত ।”
লোকেদের থেকে আড়াল করার জন্য অন্বেষীকে বিয়ের জন্য ফোর্স করতো বাড়ির লোক । তাই দিনে বিয়ের কবে থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় বর্ষে আসার পরে তার মনে হলো যে সে চাকরি পেতে পারেন না । তার এই কথা শুনেই পরিবারের সদস্যরাও বিয়ের ব্যাপারে পিছিয়ে পড়ে । পারিবারিক চাপ মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি ইন্দোরে গিয়ে ছিলেন এমবিএ করার জন্য । তবে সেখানেও তার পড়াশোনা অসফল থেকে যায় ।
এরই মাঝে তিনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন । কি ব্যবসা তিনি চা, বিস্কুট খেয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ব্যবসা গড়ে তোলেন । ফলে এই ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য তার বাড়ি থেকে যেই টাকা পাঠানো হতো, সমগ্র সেই ব্যবসায় ঢেলে দিত । ফলে তার ব্যবসা বেশ ভালোই চলত । কিন্তু, এরই মাঝে বাড়ির লোক বিষয়টি জানতে পেরে যায় এবং প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন, যা দেখার মত ছিল ।
এরই মাঝে একসময় পাঞ্জাবি গায়কের সাথেও কাজ করেছিলেন- যেখানে তিনি অন্বেষীকে বলেছিলেন যে, শাড়িটা রাখ, আমি তোমাকে তাতে দেখতে চাই।” তাই একজন বিখ্যাত পাঞ্জাবি গায়কের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় দেড় মাস তার সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন এবং গানের রেকর্ডিং এর জন্য প্রতিদিন চন্ডিগড় যেতে হয়েছিল । এমনকি সেখানে যাওয়ার পূর্বে তাকে বলতো- “তোমার ব্যাগে দুই জোড়া শাড়ি রাখো । আমি তোমায় ব্যক্তিগতভাবে দেখতে চাই ।”
গায়কের এই মন্তব্য শুনে অন্বেষী বলেন, “এই কথাটা আগে বললে আমি তোমার সাথে কাজ করতাম না ।” তারপর সেই গায়ক দু বছর পর আমাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মেসেজ পাঠায় । তার মেসেজের পরিপ্রেক্ষিতে আমি পাল্টা জবাব দিই- “একজন শিল্পী কখনোই চেহারার সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা উচিত নয় ।”
এরপর সাক্ষাৎকারের অন্তিম সময়ে অন্বেষী বলেন, “আমার মতে যে কোন ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালকরা তাদের বেছে নেওয়া অভিনেত্রীদের চেহারার থেকে বেশি তাদের দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া । যারা বহিরাগত কিংবা নিয়ন্ত্রণ হীন তাদের ওপর আপনি আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন । কিন্তু একজন শিল্পীকে কখনোই চেহারার সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা উচিত নয় । তাহলে, শিল্প এবং শিল্পী উভয়েরই সমাজের এক ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে ।”
Pingback: Rajat Dalal :- Big Boss এর 18 তম সিজনে রজত দালালকে