Tab Scam (পশ্চিমবঙ্গ) :- বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ট্রান্সফারের ওপর এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সামনে এসেছে । একের পর এক অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা সঠিকভাবে জমা পড়ছে না । কারোর ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকছে না আবার কেউ কেউ একই পরিমাণ টাকা দু বার পেয়ে যাচ্ছে ।
একের পর এক জেলায় সরকারি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী Tab কেনার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ট্রান্সফারের উপর চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । আবারো এক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় একজন প্রাক্তন ছাত্রীকে । যেখানে দুইজন ছাত্রীর নাম একই হওয়ায় ভুলবশত এক ছাত্রীর টাকা অন্য ছাত্রীর একাউন্টে চলে যায় । যার ফলে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কির্নাহা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর । খবর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সেই পড়ুয়ার নাম চৈতালি হাজরা । আসলে চৈতালি হাজরা নামে দুই জন পড়ুয়ার নাম হওয়ায় ভুলবশত এক পড়ুয়ার টাকা আরেক পড়ুয়ার একাউন্টে চলে যায় । যাত্রী দুজনের নাম এক হওয়ায় পাড়াগাঁয়ে এক বিভ্রান্তকারী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । এরপর সেই বিদ্যালয়ের প্রাপ্য ট্যাব গ্রহণকারী ছাত্রী (চৈতালি হাজরা) উক্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষককে খবর দেয় ।
“নবান্নে খাতায় সইয়ের বদলে ডিজিটাল হাজিরা !” কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশ অর্থ দফতরের !
নিয়ম না মানলেই বাতিল লক্ষ্মীর ভান্ডার একাউন্ট ! ডিসেম্বর থেকেই চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ম !
জানা গিয়েছে ভুলবশত টাকা ট্রান্সফারকারী ছাত্রীর নাম চৈতালি হাজরা । যেই ছাত্রী একই স্কুলে পড়াশোনা করতো । তবে বেশ কয়েক বছর হয়ে গিয়েছে, সে স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছে । এমনকি তার বিয়েও হয়ে গিয়েছে । তাই ট্যাবের টাকা গ্রহণকারী ছাত্রী উক্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষককে খবর দিলে পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা সাহায্য চান পুলিশের কাছে । এরপর উক্ত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ পুলিশকর্মী সেই ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয় ।
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, নাম এক হওয়ায় ভুলবশত টাকা ট্রান্সফারকারি ছাত্রীর নাম চৈতালি হাজরা, মায়ের নাম শিখা হাজরা । চৈতালি হাজরা গত 3 বছর হয়েছে সেই স্কুল থেকে বিদায় নিয়েছে । তবে বিগত ১৫ দিন আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীসহ অভিভাবককে স্কুলে ডাকেন এবং শিক্ষার্থীর যাবতীয় ডকুমেন্টস নেয় । এরপরই কিছুদিনের মধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে । কিন্তু এরই মাঝে স্কুলকর্তৃপক্ষ জানান উপযুক্ত টাকা অন্য এক ছাত্রীর । নাম এক হওয়ার কারণে এই ভুলটি হয়েছে । এমতাবস্থায় কীর্ণাহার থানার পুলিশ এসে জোর করে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে টাকা তুলে নেয় । এমনকি স্কুল থেকে তাকে 500 টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ।
এরপর যদিও পুলিশ কর্মীর সাহায্যে সেই উপযুক্ত শিক্ষার্থীর প্রাপ্য টাকা উদ্ধার হয় । তবে শিক্ষার্থীর অভিভাবক উক্ত ঘটনায় তাদের হেনস্থার পাশাপাশি সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন । তারা এও বলেন, দুই ছাত্রীর নাম যদিও এক হতে পারে, কিন্তু বাবা মার নাম কী করে এক হয় ? ছাত্রীর সমস্ত ডকুমেন্টস নেওয়ার পরেও কি করে এক ছাত্রীর টাকা আরেক ছাত্রীর একাউন্টে ট্রান্সফার হয় ?
“আমি দোষ করিনি, বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে !” বিচারপর্বের শুরুতেই সঞ্জয়ের বিস্ফোরক মন্তব্য !