Sheikh Hasina :- বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকার শেখ হাসিনার বিগত সময় কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশে দাঙ্গার ফলে তার বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অভিযোগ উঠে আসে । যার জেরে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার মোহাম্মদ ইউনুস ও রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সরকার টুর্ক সহ তাকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্তে এসেছেন ।
উক্ত সিদ্ধান্তে কেবলমাত্র শেখ হাসিনাই একমাত্র নন, তার পাশাপাশি আওগামী লীগ সরকারের যে সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছিল তাদেরকেও শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা প্রধান আসিফ নজরুল । এই সিদ্ধান্তের পূর্বেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনাকে গণহত্যার মামলায় তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল ।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সেনা বিদ্রোহের মুখ এড়িয়ে গত 5 আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান । বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন । তার পাশাপাশি আওগামী লীগের বহু সাংসদ ও সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু তাদের মধ্যে বেশ কিছু সদস্য বাংলাদেশেই আত্মগোপনে বসবাস করতে থাকে । এরপর বাংলাদেশ সরকারের কঠোর তদন্তের পর প্রায় 50 জন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদ পুলিশ সূত্রে গ্রেপ্তার হয় । বর্তমানে তাদেরকে বাংলাদেশ থানায় জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে |
মোহাম্মদ ইউনূসের করা পদক্ষেপ ! বাংলাদেশ ছাত্র লীগের কোন সদস্য চাকরি পাবেন না !
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুজিবের কন্যা Sheikh Hasina ও তার সাংসদের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে । দেশের বিভিন্ন থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় 227 টি কেস পাওয়া গিয়েছে । গত 17 অক্টোবর আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচারে দেশত্যাগী হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি মামলা জারি করা হয়েছে । শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওগামী লীগ সংগঠনের আরও 45 জন নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি মামলা জারি করেছেন জামায়াত ইসলামীর কট্টর সমর্থক গোলাম মর্তুজা মুমদার । এমনকি আগামী মাসের 18 নভেম্বরের মধ্যেই গণহত্যার মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ তার দলের অন্যান্য সদস্যদের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দালাল রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান ফলকার টুর্ক গণহত্যার তদন্তে বাংলাদেশের ঢাকায় আসেন । এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা প্রধান আসিফ নজরুলের সঙ্গে এক বৈঠক সভায় উক্ত বিষয়টিকে নিয়ে সমালোচনা করেন । উক্ত বৈঠকে টুর্ক জানান যে বিগত জুলাই-আগস্টে হয়ে যাওয়া কোটাবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কিরূপ শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ?
এরপরই বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা প্রধান জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তি সরকার Sheikh Hasina ও তার দলের সদস্যদের উপর গণহত্যার মামলায় তাদেরকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আন্দোলনে হয়ে যাওয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে মারার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে ফাঁসির শাস্তি ছাড়া অন্য কোনও শাস্তির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না ।
বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা নামের উচ্ছেদ ! বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ মন্ত্রী নাহিদের নতুন করে রচিত ইতিহাস !