
Sanjay Roy Narco Test :- R. G. Kar হাসপাতালের কূটনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের উপর নারকো টেস্ট করার অনুমতি চেয়েছিল আদালতে । কিন্তু তাতে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণকারী ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় এতে রাজি হয়নি । তার রাজি না হওয়ায় আদালত সিবিআইকে এরূপ কার্যক্রমে অনুমতি দেয়নি । তবে বিষয়টা হচ্ছে Narco Test আসলে কি ?
* What Is A Narco Test ?
এই নারকো টেস্ট প্রক্রিয়াটি আসলে মানবদেহের শরীরে অবস্থানকারী শিরায় একপ্রকার ঔষধ মিশিয়ে দেওয়া হয় । যেখানে সোডিয়াম পিন্টোথাল , স্কোপোলামিন এবং এমোবারবিটালের মতন মেডিসিন দিয়ে তৈরি করা হয় । যার ফলে সে ব্যক্তিকে আনাস্থেশিয়ার বিভিন্ন ধাপে স্থানান্তরিত করা হয় । তারপর হিপনোটিক পর্যায় সারণিতে সেই ব্যক্তিকে আচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয় । কারণ যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞান থাকে এবং সে বলতে রাজি না থাকে তাহলে, তখন সেই হিপনোটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি থেকে সম্পূর্ণ জ্ঞান গোপন সূত্রে বের করে নেয়া হয় এই নারকো টেস্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ।
অর্থাৎ কোনরকম তদন্তকারী প্রক্রিয়ায় জীত ব্যক্তির মধ্যে কোন মামলা বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যখন সেই বিষয়গুলি স্পষ্ট না হয় , তখন সেই তথ্যগুলি স্পষ্ট ভাবে বের করার জন্য এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হয় । তবে এর বিশেষত্ব হচ্ছে নারকো টেস্টে যে তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয় , তা আদালতে পেশ করা হয় না । কিন্তু অন্য ক্ষেত্রেও যদি আদালত সেই সংশ্লিষ্ট তথ্য জানতে চায়, তাহলে নারকো এনালিসিস টেস্টের সময়কালীন যে মন্তব্য রাখা হয়েছিল সেই মন্তব্য গুলি বিচার প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত করা হয় ।
বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য থেকে জানা যায়, Narco Test প্রক্রিয়ায় সেই ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্রের হস্তক্ষেপ করা হয় । এই প্রক্রিয়াটিতে সেই ব্যক্তিকে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হয় । তারপর সেই ব্যক্তির কাছ থেকে সমস্ত সঠিক তথ্য বের করার জন্য চিকিৎসকরা নানান ধরনের প্রশ্ন ইত্যাদির মাধ্যমে চেষ্টা করে । এই প্রক্রিয়ায় পুরো ঘটনাটিকে ভিডিওগ্রাফ করা হয় । তবে নারকো টেস্ট প্রক্রিয়ায় সেই ব্যক্তির লিঙ্গ, বয়স, স্নায়ু এবং শারীরিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরিমাণ মতো ওষুধ দেওয়া হয় ।
এরপর তদন্ত চলাকালীন সঠিক তথ্য না পাওয়ার পর আদালত সূত্রে সঞ্জয়ের ওপর নারকো টেস্ট করার অনুমতি দেয় । তারপর আদালতের অনুমতির পর CBI সঞ্জয় রায় এর ওপর নারকো টেস্ট প্রক্রিয়া চালু করে । তবে এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি নিয়েই প্রক্রিয়াটি প্রয়োগ করা হয় ।
পড়তে থাকুন :- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন ঘোষণা !
সঞ্জয় রায়ের উপর Narco Test প্রক্রিয়াটি প্রয়োগ করার আগেও 2002 সালে দেশের অন্যান্য ঘটনায় এই প্রক্রিয়াটি প্রয়োগ করা হয়েছিল । যেখানে রয়েছিল গুজরাটের দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলার অভিযোগে , আব্দুল করিম তেলগী ভূঁইও স্ট্যাম্প পেপার দুর্নীতির অভিযোগে , নেট হারি হত্যাকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য নারকো টেস্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল । এছাড়াও 2010 সালে মুম্বাইয়ে তাজমহল ঘটনায় ধৃত সন্ত্রাসীদের ওপর নারকো টেস্ট করা হয়েছিল । যার ফলে সন্ত্রাসীদের ফাঁসি ঘোষণা করা হয়েছিল ।
[wpforms id=”148″ description=”true”]
Leave a Reply