
Pope Francis :- পোপ ফ্রান্সিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হেরিসকে মন্দ আচরন মূলক বিষয় সাপেক্ষে মন্তব্য করেছেন । তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের গর্ভপাতের পক্ষের অবস্থানকে হত্যার সাথে তুলনা করেছেন । জোর গলায় বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণ ইতিমধ্যেই তাকে বহিষ্কার করুক অথবা গর্ভপাত সমর্থন করুক- যা কিনা জীবনের মূল্যের বিরোধিতা হিসেবে প্রতিফলিত হয় ।
পোপ ফ্রান্সিস আগামী নির্বাচন হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সময় তাদের আচরণকে নানান ধরনের কটাক্ষ মন্তব্য করার সাথে আহ্বান জানিয়েছেন । এরপর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্য দিয়ে অভিযান যাত্রার সময় তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম এবং কমলা হ্যারিসের মতন আমেরিকান প্রার্থীকে “জীবনের বিরুদ্ধগামী” মানুষ হিসেবে বর্ণনা দিয়েছেন ।
তিনি এক সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণের কাছে মন্তব্য প্রকাশ করে বলেছেন যে আমেরিকান রাষ্ট্রপতি কমলা হেরিসের গর্ভপাত বিষয়টিকে একটি হত্যা মূলক প্রক্রিয়া । তাই অতি শীঘ্রই আপনারা এটির বিবেচনা করুন অথবা বহিষ্কার করুন ।
এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেছেন যে আগামী ভোট পর্বে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট প্রার্থী হিসেবে ভোট দেবেন না । এর পাশাপাশি তিনি আমেরিকানদের কাছে ব্যালট দেওয়ার জন্য নানান ধরনের উৎসাহমুলক আহ্বান করেছিলেন বলেছেন, “ভোট না দেওয়া অনুচিত কার্য । আপনাকে অবশ্যই ভোট দিতে হবে”। এরপর তিনি তার উপরে মন্তব্য জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বলেছেন, জনগণই বিচার করুক যে ভালো প্রার্থী হিসেবে কাকে বাছাই করা উচিত ।
ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের দূরে সরিয়ে দেওয়া এবং কোনরকম কাজ করার থেকে লুপ্ত করা বা তাদের কে স্বাগত করার প্রক্রিয়াটি গুরুতর পাপ হিসেবে তুলে ধরেছেন ।
তার এই মন্তব্যে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই আমেরিকার অবৈধ অভিবাসীদের আটক করবেন এবং তাদের নির্বাসন করবেন । কারণ তিনি আগামী বছরের আসন্ন নির্বাচনের সময়ের আগেই White House এ ফিরে যেতে চান ।
পড়তে থাকুন :- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন ঘোষণা !
তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের এই মন্তব্য প্রথম নয় , এর আগেও 2016 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিবাসী সম্প্রদায়ের বিরোধী ভাষায় কটাক্ষ উক্তি করে বলেছিলেন, “অভিবাসীদের বহিষ্কার করা মানেই অন্যায়।” তবে তার এই মন্তব্যে ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কঠোরভাবে রয়েছিলেন । এরপর জনগণের পূননির্বাচনের পর লক্ষ লক্ষ অধিবাসীদের নির্বাসনা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ।
অপরদিকে 2022 সালে যখন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রো ভি ওয়েডের পথকে পরিবর্তিত করার চেষ্টা করেছিলেন । যেখানে 1973 সালের আইনের খাতায় পুরোপুরিভাবে মহিলাদের ওপর গর্ভপাতকে জাতীয় অধিকার হিসেবে তুলে ধরা । যে অধিকারকে কমলা হ্যারিস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ।
এরপর সর্বশেষে পোপ ফ্রান্সিস বলেন – “আপনাদের উভয়ের মধ্যেই বিবেচনা করতে হবে । যে কে ভালো কে মন্দ ? কমলা হেলেস মন্দ ? নাকি ট্রাম্প মন্দ ? অতি শীঘ্রই তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ।”
Leave a Reply