Poor Rail facility :- রেলওয়ে পরিষেবার বেহাল পরিস্থিতি , এই নিয়ে বিক্ষোভ নিত্য যাতায়াতকারীদের …

Poor Rail facility :- দিন যত যাচ্ছে যাতায়াত কারীদের সংখ্যাও ততটাই বাড়ছে । ফলে এই চাদিফাটা গরমে রেলওয়ে পরিষেবার বেহাল পরিস্থিতি হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের এক বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । রেলওয়ের প্রতিটি কামরায় পাখার পরিষেবা মজুত থাকা সত্ত্বেও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া লোকের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে পাখার দিকে তাকালে কষ্ট যেন আরও প্রবল হয়ে ওঠে । এমনকি কামরার বেশির ভাগ পাখাগুলি প্রায়শই বন্ধ হয়ে থাকে । ট্রেনের বেশিরভাগ কামড়াগুলিতে দেখা যায় জানালা আছে , কিন্তু পাল্লা ছাড়া ।

১.৬.  এমনকি মাথার ওপরে পাখা আছে তাও অচল । ফলে গ্রীষ্ম , বর্ষা , শীত সমেত সারা বছরই এক ভোগান্তি ভোগ করতে হয় । এই পরিস্থিতির দরুন যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন , শিয়ালদহ স্টেশনের সমগ্র দক্ষিণ শাখায় চলাচলগামী ট্রেনগুলির পরিষেবা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে । তবে এই অসুবিধা ও পরিষেবাগুলি সমাধানের জন্য নানা ধরনের আবেদন , নিবেদন করা হলেও বাস্তবে এর কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি ।

*আরও পড়ুন :- শিয়ালদহ স্টেশনের স্থানীয় রেল যাত্রীবাহীদের জন্য নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে … 

২.৬.  রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে , পূর্ব রেলের ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহ অব্দি লক্ষীকান্তপুর , নামখানা ও কাকদ্বীপ স্টেশন গুলি দিয়ে ট্রেন চলাচল করে । শিয়ালদহ শাখার ডায়মন্ড হারবারে মোট ২৬ জোড়া এবং লক্ষীকান্তপুর শাখায় মোট ২৮ জোড়া সমেত লোকাল ট্রেন চলাচল করে । এক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবার এর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এবং শিয়ালদহ থেকে নামখানা এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার । এক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহ স্টেশন যাতায়াতে প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট সময় লাগে এবং নামখানা থেকে শিয়ালদহ স্টেশন অব্দি যাতায়াতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লাগে ।

৩.৬.  রায়দিঘির মথুরাপুর, কুলতলী, জয়নগর , মগরাহাট সহ আরো বেশ কিছু ব্লকের হাজার হাজার যাত্রীদের কলকাতা যাতায়াতে বাসের সুবিধা এখনো অব্দি না হয়ে ওঠায় যাত্রীদের নিত্য প্রয়োজনীয় ট্রেনই একমাত্র ভরসা । বহু সংখ্যক যাত্রী যাতায়াতের জন্য ট্রেনকেই একমাত্র ভরসা হওয়া সত্ত্বেও ট্রেনের নানা ধরনের অসুবিধা যাত্রীদের ভোগ করতে হয় । যেমনকি – ট্রেনের কিছু কিছু জানলা ভাঙ্গা , পুরনো হওয়ায় সেই জানালার পাতি ভেঙে এদিক ওদিক হওয়ায় তাতে যাত্রীদের পোশাক লেগে ছিড়ে যায় , বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সিট ছেড়ে , ফ্যান থাকা সত্ত্বেও অচল ।

*এক নজরে :- ভরসার গুগল ম্যাপ সরাসরি পুকুরে নিয়ে গিয়ে ফেলল ! যাত্রীরা কোনমতে নিজেদের প্রাণ বাঁচালেন … 

৪.৬.  এছাড়াও দিন দিন অধিক পরিমাণে জনসংখ্যা হওয়ায় মহিলা কম্পার্টমেন্ট আর পুরুষ কম্পার্টমেন্ট তা অস্পষ্ট হওয়ায় চিহ্নিত করাও মুশকিল । ফলে যদিও কোন পুরুষ মহিলা কম্পার্টমেন্টে যাতায়াতে ধরা পড়ে তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হয় । একদিকে চাদিফাটা গরম অপরদিকে লোকের ভীরের ঠাসাঠাসি যাত্রীদের অসুস্থতা ভোগ করতে হয় ইত্যাদি ।

৫.৬.  এছাড়াও ট্রেনের কামড়া গুলিতে বেশির ভাগ সময়েই নোংরা থাকায় দুর্গন্ধ বের হয় , ফলে সিটে বসাও অস্বস্তিকর লাগে । বগীর ভেতর , বাইরে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন লেগে থাকায় ট্রেনের আসল কালার ও বোঝা যাচ্ছি না । বেশির ভাগ জানালা গুলির পাল্লা ভাঙা থাকায় বর্ষাকালে বৃষ্টির সময় জলের ছিটে জামা কাপড় ভিজিয়ে দেয় । এমনকি বগির বেশির ভাগ বাথরুম গুলিতেও প্রায়শই মল -মূত্র লেগে থাকতে দেখা যায় ।

৬.৬.  উপরিউক্ত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায় , প্রত্যেক স্টেশনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কর্মী দেওয়া হবে । এছাড়াও পূর্ব রেলকর্তৃপক্ষের এক অধিকারীক বলেন , ট্রেন কম্পার্টমেন্টে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যদি কোনো অসুবিধা বোধ হয় তাহলে স্টেশন ম্যানেজার এর কাছে অভিযোগ জানাতে পারে।

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top