New Zealand viral video:- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউজিল্যান্ড মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন এক আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনার সময় ‘হানারাহিতি মাইপিকলাইতেরকি একটি ভিডিও দারুণভাবে ভাইরাল হতে হচ্ছে । ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, কোন এক আলোচ্য বিষয়ের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখ দিয়ে ‘কামা তে, কামা তে’ বলে চিৎকার করে একটি কাগজ ছিঁড়ে ফেলছে । তবে লোকমুখে প্রশ্ন, সংসদ সভায় তার এমন প্রতিবাদের কারণ কি ?
কদিন আগের নিউজিল্যান্ডের সাংসদ সভায় এক তরুণীর প্রতিবাদী আচরণ সামাজিক মাধ্যম ও নিউজ পেপারে দারুন ভাবে ভাইরাল হচ্ছে । যেখানে, মাত্র 22 বছর বয়সী হানাহিতি, যিনি নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দলের এক সদস্য হয়ে বিতর্কিত বিলের প্রতিবাদ জানাতে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান ।
এরপর তিনি সেই সংসদ সভায় ‘কামা তে, কামা তে’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন । বাংলা অনুবাদে এই শব্দের অর্থ হলো, মাওরি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ঢাকা গানের অংশ । মূলত এই গানটি তাদের যুদ্ধ সংক্রান্ত গান । তবে এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো, “আমি মরি আমি মরি, আমি বাঁচি আমি বাঁচি ।”
সাংসদ সভায় তার এইরূপ সংস্কৃতিক আচরণে সমাজ মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে ওঠেন । তবে উক্ত সময়কালীন তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি এতটাই দারুন ছিল যে, সমাজ মাধ্যমে তা নিয়ে একের পর এক ‘মিম’ তৈরি হতে শুরু করে ।
“মে বোর হু… মে বহত গুসসা আয়া হু”-3 বছরের তাসুর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার রহস্য কী?
তবে তার মুখ থেকে যেই শব্দটি উচ্চারণ হয়েছিল পরিবর্তে সেটি ‘কম্বল দে, কম্বল দে’ বলে উচ্চারিত হতে শুরু করে । তাই তার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে দারুন ভাবে ভাইরাল হতে শুরু করে । হানারাহিতির এই প্রতিবাদী ছিল, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রকাশ । তবে বর্তমানে তাকে হাস্যকর চলচ্চিত্র হিসেবে লোকমুখে ডাকা হচ্ছে ।
তবে এই ভিডিওটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিবাদের মাধ্যম নয়, বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক অন্যান্য উপায়ও ছিল । ‘মায়ই’ সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী গান ‘হাঁকা’ নাম পরিচিত । মূলত এই গানটি উদ্বুদ্ধ করন বা শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত ।
এদিনের সাংসদ সভার এই তরুনীর ভিডিওর মাধ্যমে গানটির পৌরাণিক কাহিনীর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে । সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের এই ধরনের মিম তৈরির মাধ্যমে সংস্কৃতিক প্রতিবাদে এই মুহূর্তটা কতটা স্বীকৃত এবং শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এটি ভাবার বিষয় ।
“সাপের কামড়েও নির্বিকার যুবক!” মুঠোয় সাত বিষধরের ভাইরাল ভিডিও!”