
Mark Zuckerberg :- বর্তমান যুগে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা একেবারেই অসম্ভব । যোগাযোগ মাধ্যম, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে কাজের জন্য স্মার্টফোন খুবই প্রয়োজনীয়। তবে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Meta ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেন, “একদিন স্মার্টফোনের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে এবং তার পাশাপাশি এক নতুন প্রযুক্তি দখল করবে ।”
আনুমানিক 20 থেকে 30 বছর আগে যেমন চলচ্চিত্র, সিনেমা, সফটওয়্যার ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ বা কম্পিউটার ছাড়া কাজ করা যেমন অসম্ভব ছিল, ঠিক তেমনই আজও স্মার্টফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা একেবারেই অসম্ভব । তবে মার্ক জুকারবার্গের এই নীতি (আগামী দশকে স্মার্টফোনের জায়গা নেবে নতুন প্রযুক্তি) সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে প্রশ্নের প্রভাব ফেলে ।
* Mark Zuckerberg এর নীতি অনুযায়ী পরবর্তী প্রজন্মের যান্ত্রিক কৌশল :-
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Meta ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের মতে, আগামী কয়েক বছর পর স্মার্টফোনের বদলে ব্যবহারকারীদের কাছে থাকবে Smartglass কম্পিউটিং ডিভাইস। তিনি বলেন, “এই স্মার্টগ্লাস ডিভাইসের ব্যবহার আগামী 2030 সালের মধ্যেই দেশ-বিদেশে প্রচলিত হতে শুরু করবে । যখন আমাদের কাছে স্মার্টফোন প্রায় ব্যবহারই হবে না তার পরিবর্তে আমরা স্মার্টগ্লাস ব্যবহার করব ।”
তবে জুকারবার্গের নীতি অনুযায়ী, তার এই যান্ত্রিক কৌশলটি আমাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সুবিধাজনক ও সহজ হবে বলে মনে করা যায় । কারণ স্মার্টফোনের তুলনায় গ্লাসে যেকোনো ধরনের কাজে খুব সহজে ও অতি শীঘ্রই করা সম্ভব হবে । যার জন্য দেশের জনগণ সেই প্রযুক্তির উপর ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হবে ।
এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে Meta কোম্পানি “ওরিয়ন স্মার্টগ্লাস” প্রদর্শন করেছে, যা অগমেনটেড রিয়ালিটি প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে । এই গ্লাসের মাধ্যমে দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল দুনিয়া এবং বাস্তব দুনিয়ার মধ্যে সংগতিবিধানে অনেকটাই সাহায্য করবে । তাই যদিও এটি দেশের বাজারগুলিতে আসতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে । তাই বর্তমানে Meta ছাড়াও চীন ও অ্যাপেল কোম্পানির বিজ্ঞানীরা স্মার্টগ্লাস নিয়ে কাজ করছে ।
* স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে Smart glass কতটা সফল হবে ?
মার্ক জুকারবার্গের এই ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে আগামী দশকেই স্মার্টফোনের জায়গা নেবে এই স্মার্টগ্লাস । তবে স্মার্টফোনের পরিবর্তে এই বিকল্প প্রযুক্তিগত মাধ্যমটি ব্যবহারকারীদের জন্য কতটা গ্রহণযোগ্যতা হতে পারে, তা এখনই বলা মুশকিল । তাই লোকমুখে নানান প্রশ্ন আসছে, স্মার্টফোনের মতো স্মার্টগ্লাসও কি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদের এক অংশ হয়ে দাঁড়াবে ? নাকি স্মার্টফোনই মানুষের প্রধান যোগাযোগমাধ্যম কিংবা অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও দীর্ঘদিন ধরে চলবে ?
তাই পরবর্তী প্রজন্মের ভিত্তিতে স্মার্টফোনের পরিবর্তনে এই স্মার্টগ্লাসের ব্যবহার কতটা সফল হবে, তা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর গ্রহণযোগ্যতার ওপর এবং আরও উন্নত মানের প্রযুক্তির ওপরেও । তবে মার্ক জুকারবার্গের নীতি অনুযায়ী এই স্মার্টগ্লাস যদি ব্যবহারকারীদের জনপ্রিয় ও উন্নতমানের প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে এটি সত্যিই স্মার্টফোনকে দূরে সরিয়ে দেবে ।
“এটিএম-এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!” বড় সিদ্ধান্তের মুখে ব্যাঙ্কিং সেক্টর !
Leave a Reply