Mahakumbh Stampede 2025:- মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে 30 জনের মৃত্যু এবং 60 জনের আহত হওয়ার ঘটনায় গোটা দেশে শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে । উত্তর প্রদেশের মৌনী অমাবস্যার দ্বিতীয় শাহিস্নানের দিন এই ঘটনাটি ঘটে । তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের । আহতদের মধ্যে অনেকে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন । উক্ত ঘটনায় সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে । পাশাপাশি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাসের ওপরেও সমালোচনা শুরু হয়েছে ।
এরই মাঝে মহাকুম্ভের এই ঘটনায় কলম ধরেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন । তিনি ফেসবুকের একটি পোস্টে শেয়ার করে ঘটনাটি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন । তিনি লিখেছেন, “তীর্থযাত্রায় গিয়ে লোকের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে যারা মারা যায়, তাদের জন্য, আমরা, যারা ধর্মে বিশ্বাস করি না, আমাদের খুব কষ্ট হয় । কিন্তু লক্ষ্য করেছি, ধর্মে যাদের অগাধ বিশ্বাস, তাদের কষ্ট খুব কমই হয়, অথবা একেবারেই হয় না । কারও কারও তো স্বস্তি, এমনকী আনন্দও হয় । তারা যে কেবলমাত্র মনে করেন, তা নয় । তারা রীতিমত বিশ্বাস করেন যে, তীর্থযাত্রার মৃত্যু পবিত্র মৃত্যু।”
তসলিমা আরও লিখেছেন, “ বিশ্বাস ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত । এমনকি ভয়ঙ্করও কম নয় ।” তবে তার এই পোস্টে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন । একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বিশ্বাসের মতো বড় ভাইরাস আর নেই ।” তবে কেউ কেউ পাল্টা আক্রমণও করেছেন । একজন মন্তব্য করেছেন, “তীর্থে মৃত্যু ধার্মিকদের কাছে পুণ্যলাভ । হজ করতে গিয়ে মরলেও ধার্মিকরা তাই বলে থাকে ।” আরও পড়ুন:- “কুম্ভ মেলার ‘কাঁটাযুক্ত বাবাকে’ নিয়ে ইউটিউবারদের বিতর্কিত আচরণ কী পবিত্রতার অবমাননা ?”
এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । যার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের ঘোষণা করেছেন । পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারের প্রত্যেককে 25 লক্ষ্য টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । তবে, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে ? এত বড় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী করে এতটা শিথিল হতে পারে ? Donald Trump হোয়াইট হাউজের “অভিবাসন নীতিতে” কী সিদ্ধান্ত নিলেন ?
মহাকুম্ভ মেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি । প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মেলায় অংশ নেন । কিন্তু এবারের ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার গুরুতর ত্রুটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত বড় সমাবেশে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল ।
তসলিমা নাসরিনের পোস্টে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সমাজের মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। তার কথায় উঠে এসেছে বিশ্বাসের অন্ধকার দিক, যা অনেক সময় যুক্তি ও মানবিকতার বিপরীতে চলে যায় । অপরদিকে এই ঘটনা শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের সমাজে ধর্ম, বিশ্বাস ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। ভারতে আগমনী যুক্তরাষ্ট্রের 18,000 অবৈধ অভিবাসী নিয়ে মোদির প্রতিক্রিয়া কী ?