
Finance Department (কলকাতা) :- রাজ্যে তৃণমূল সরকারের অধীনে নবান্ন আয়কর দপ্তরে এর আগেও রাজ্যের কর্মীদের হাজিরা নিয়ে অভিযোগ উঠলেও, তা এখনো পর্যন্ত কার্যকর হয়নি । তাই অর্থ দপ্তরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এখন থেকে হাতে-কলমে নয় ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে প্রত্যেক কর্মীদের হাজিরা তাদের নিজস্ব ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে ।
হাতে কলমে কাজ হচ্ছে না বলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের হাজিরা প্রদানের জন্য এক ন্যূনতম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যেখানে কর্মীরা বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে তাদের হাজিরা তুলতে পারবেন । এমনকি বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি যদি খাতায় সইয়ের কোন কার্যক্রম থাকে, তাহলে সেই পদ্ধতিও এখন থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন (সোমবার) রাজ্যের ডেপুটি কমিশনার নাভেদ আখতার ।
এছাড়াও গত বছর 2023 সালে নবান্নের অর্থ দস্তরের অধীনে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের হাজিরার বিষয়ে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি খাতায় সইয়ের পদ্ধতিও চলছিল । এর ফলে বেশিরভাগ কর্মীরাই বায়োমেট্রিক ব্যবহার না করে খাতায় সই করছেন । এমনকি অন্যান্য দপ্তর থেকে বদল হয়ে যারা নবান্নে এসেছেন তারা তাদের গৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করেননি । যার জন্য আর বায়োমেট্রিক চালু করা হয়নি । পাশাপাশি যে সকল কর্মীরা পদোন্নতির জন্য নবান্নে এসেছিলেন তাদের ক্ষেত্রেও এমনটাই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে । তাই এই সকল দিক অনুসরণ করার পর নবান্নের অর্থ দপ্তর রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের জন্য একমাত্র ‘Biometric’ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন ।
“আমি দোষ করিনি, বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে !” বিচারপর্বের শুরুতেই সঞ্জয়ের বিস্ফোরক মন্তব্য !
সরকারি দপ্তরে নবান্নের কর্মীদের পরিদর্শনে গত বছর মার্চ মাসের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা নবান্নে গিয়ে উপস্থিত হন । এরপর সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন দুপুর 12:30 টার পরেও নবান্নে 25 শতাংশ কর্মী উপস্থিত । এরপর মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নবান্নের অফিসে কর্মীদেরকে সকাল 10:15 টায় উপস্থিত এবং বিকেল সোয়া 05:15 টায় অফিসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । যার জন্য 2023 সালেই নবান্নে ‘ফেস রিকোজনেসন বায়োমেট্রিক মেশিন’ বসানো হয়েছিল ।
এছাড়াও প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ধর্মঘট অবলম্বনে কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে ও সরকারি দপ্তরের কর্মসূচি মজবুত করতে করা মনোভাব দেখিয়েছিলেন । পাশাপাশি রাজ্যের সরকারের অধীনে স্কুল-কলেজ, হসপিটাল এবং অন্যান্য দপ্তরের ক্ষেত্রেও কর্মীদের হাজিরা নিয়ে করা মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন । তাই গত বছর নবান্নে সরকারি কর্মীদের সঠিকভাবে হাজিরা প্রদানের জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেছিলেন ।
কিন্তু খবর মাধ্যমে জানা গিয়েছে তাতে বেশিরভাগ কর্মীরাই অনিচ্ছুক প্রকাশ করেছেন এমনকি তারা বায়োমেট্রিকে উপস্থিতি না দিয়ে খাতায় সই করতেন । যার ফলে একাধিক কর্মীদের সঠিক কর্মসূচি নবান্নে নথিভুক্ত হয়নি । তাই এই সকল দিক অনুসরণ করে চলতি বছরে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাতায় সইয়ের বদলে একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ।
নিয়ম না মানলেই বাতিল লক্ষ্মীর ভান্ডার একাউন্ট ! ডিসেম্বর থেকেই চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ম !
Leave a Reply