Dibrugarh Express :- 18 July ডিব্রুগড় ট্রেন দুর্ঘটনায় চালক অনিল কুমারের ওপর রেল আধিকারিকদের প্রবল দোষারোপ সৃষ্টি !

Dibrugarh Express :- 2024 সালের 18 জুলাই বৃহঃস্পতিবার দুপুর 2.30 pm Dibrugarh Express চলন্ত অবস্থায় একই রুটে চলাচলকারী একটি মাল গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যায় । ট্রেন দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ মানুষই আহত হন । এনাদের মধ্যে লোকো পাইলট অনিল কুমারেরও মৃত্যু হয় । উক্ত ঘটনাটির জেরে ট্রেন চালক অনিল কুমারকে দোষারোপ করা হচ্ছে । এই শুনে তার বিধবা স্ত্রী রোশনী মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে । তবে সঠিকভাবে তদন্ত করা হলে অনিল কুমারের বিরুদ্ধে ভুল আরোপ প্রমাণিত হয় ।

গত 18 জুলাই বৃহঃস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের চন্ডিগড় থেকে ডিব্রুগড় যাত্রাপথে সংলগ্ন এলাকায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসটি একটি মালবাহী ট্রেনের সাথে ধাক্কা লাগে । এই দুর্ঘটনায় বহু মানুষ আহত হন , তবে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও জানা যায়নি । এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত না করেই রেলের উচ্চ পদাধিকার আধিকারিকরা ট্রেন চালক অনিল কুমারকে ট্রেন লাইনের সিগন্যাল না মানার জন্য দায়ী করছে । এই শুনে অনিলের পরিবার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । তবে ঘটনাটির নিখুঁতভাবে তদন্ত করা হলে জানা যায় , উক্ত দুর্ঘটনাটিতে ট্রেন চালক অনিল কুমারের কোন ভুলভ্রান্তি ছিল না । তদন্তের এই রায় শুনে তার পরিবার অনেকটাই স্বস্তি পান ।

দুর্ঘটনায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের পেছন প্রান্তে লাইনচ্যুত হয়ে মালবাহী ট্রেনটি ধাক্কা মারে । ট্রেন দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই রেলের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ jaya Varma এবং অন্যান্য আধিকারিকরা দোষারোপ করছে লোকো পাইলট অনিল কুমারকে । তবে পরবর্তীকালে CCRS ( Cheif Commissioner Of Railway Safety ) রিপোর্টে জানা যায় , সেই লাইনে Dibrugarh Express  থাকা সত্ত্বেও সেই মালগাড়ি ট্রেনের চালককে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । এমনকি সেই চালককে যেকোনো সতর্কতা ছাড়াই সিগনাল পার করার ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল ।

তদন্তসূত্রে জন্য গিয়েছে , চলন্ত মালগাড়িটি 80 Km / Hour গতিবেগে আসছিল । রুট পরিবর্তনের পর একই লাইনে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসকে রাঙাপানি স্টেশনে থামতে দেখায় মালবাহী ট্রেনের চালক তৎক্ষণাৎ জরুরী ব্রেক কোষেন । জরুরী ব্রেক কষার পরও ট্রেনটি 40 কিমি বেগে এসে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসকে পিছনপ্রান্তে ধাক্কা মারে । তবে মালগাড়িটির গতিবেগ না কমালে এই ঘটনাটি আরও ভয়ানক হয়ে উঠত । এই দুর্ঘটনায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসটির প্রায় 10 থেকে 12 টি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গেছে ।

ট্রেন চালক বলেন , রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যটির সঠিকভাবে ভুলত্রুটি সিদ্ধান্ত করতে না পারায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে । জানা যায় সেই মালগাড়ির পরিবর্তে একই লাইনে সেই দিনে আরও 5 টি ট্রেনের যাতায়াত ছিল । ফলে দুর্ঘটনাটির আরও বিশাল সৃষ্টি হতো । এছাড়াও CCRS রিপোর্টে জানা গিয়েছে , নূন্যতম ট্রেনের Automotive Signal সম্বন্ধে ট্রেন চালকদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি । তাই এই বিষয়ে অনেক চালকরাই সন্দেহজনক এবং প্রযুক্তি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতার বাইরেই ছিল ।

অনিল কুমারের পরিবার জানান , চালক অনিল কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের উপর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । তার কারণ অনিল কুমার কাজকর্মে মনোযোগী ছিলেন । ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য তার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা একেবারেই অন্যায় । দুর্ঘটনায় অন্যান্য লোকেদের পাশাপাশি তিনিও মারা যান । প্রতিবেশী কাজল দাস বলেন ,  “আমরা স্বস্তি পেয়েছি যে ঘটনাটির নিখুঁতভাবে তদন্ত করে অনিকলে দোষমুক্ত করা হয় ।” রেল কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছে , অনিল কুমারের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ফলে রেল সরকার তার পরিবারকে 25 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । পাশাপাশি তার সন্তানদের মধ্যে একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হবে । যদিও তার সন্তানরা এখনো নাবালক ।

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*