Bangladesh Patient:- ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তবে এই বিষয়টির উপর আবার কেউ কেউ মানবিক দিক থেকেও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন । আবার কেউ কেউ বলছেন যেই দেশ থেকে তারা নানান দিক থেকে সহায়তা পায়, সেই দেশকেই অপমান করা ভারী পড়বে ।
বাংলাদেশের উন্নত মানের হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের অভাবে বাংলাদেশের হাজার হাজার রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন । ভারতের কলকাতা সহ ত্রিপুরা, দক্ষিণ ভারতের একাধিক হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসা করার জন্য এসে থাকেন । তারপর তারা সুস্থ হয়ে নিজের দেশে ফেরত যান । তাই যেই দেশ তাদের রোগ নিরাময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই দেশকে অপমান করা, এটি পুরোপুরি নিমকহারাম কাজ ।
বাংলাদেশের জনগণের এই আচরণের বিরুদ্ধে করা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছেন যে, বাংলাদেশের কোন রোগীদের তারা চিকিৎসা করবেন না । এমনকি বিজেপি রাজ্যসভা সংসদের সদস্য শমীক ভট্টাচার্য তিনিও চিকিৎসকদের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন করেন ।
পাশাপাশি ভট্টাচার্য তার টুইটারে এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, গোটা রাজ্যজুড়ে সমস্ত হাসপাতাল গুলি এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে তারা বাংলাদেশের কোন রোগীদেরই চিকিৎসা করবেন না । তাদের এই সিদ্ধান্তে আমিও পুরোপুরি সমর্থন করেছে । আমার মতে, ভারতের সমস্ত নাগরিকদের উচিত বাংলাদেশের পণ্য, পরিষেবা, আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করা ।
তবে তার এই পোস্টে দেশের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে নানান ধরনের প্রশ্ন উঠে আসছে, বাংলাদেশকে সমস্ত দিক থেকে বঞ্চিত করা হলে, আদানির পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কী হবে?
“পশ্চিমবঙ্গে 1 কোটি রোহিঙ্গাদের প্রবেশ!” জনবিন্যাসে পরিবর্তনের প্রভাব!
আরও একজন লিখেছেন, এমনটি যদি করার থাকে তাহলে চেন্নাই আর বেঙ্গালুরু হাসপাতাল গুলিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হোক । কারণ কি সেইসব অঞ্চলগুলিতেই সবথেকে বেশি বাংলাদেশি রোগীরা এসে থাকেন ।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আগরতলার আইএলএস হাসপাতাল, একটি মালটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত শনিবার তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এমনকি বাংলাদেশীদের যাতে চিকিৎসা না করা হয় তার জন্য স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারাও চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনে তুমুল বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার পিটিআইকে জানিয়েছেন বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধ করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের যে দাবি উঠেছে, তার সঙ্গে আমরা সহমত প্রকাশ করি । পাশাপাশি আখাউরা চেকপোস্টে ও আইএলএস হাসপাতাল গুলিতে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য যে হেল্প ডেস্ক ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে । পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মানিত করায় ক্ষুদ্র হচ্ছে বাংলার জনগণ ।
সম্প্রতি স্ত্রীরোগ তথা বন্ধ্যত্বরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা তার নিজস্ব টুইটারের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে করে লেখেন, ভারতের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের এই রূপ জঘন্যতম আচরণের জন্য আপাতত চেম্বার গুলিতে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা করা বন্ধ রাখা হয়েছে । আগে দেশ, পরে রোজগার । আমি আশা রাখব যাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যতদিন না পর্যন্ত স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন অব্দি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা করা হবে না ।