Bangladesh Economy :- ভয়াবহ পরিস্থিতির ফলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে । তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নিয়ম-কানুন স্বাভাবিক স্তরে নিয়ে আসার জন্য পুরোপুরিভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন বর্তমান সরকার । বাংলাদেশের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে সেই দেশের ব্যাংক , দোকান , কোম্পানি , শোরুম , বাণিজ্যিক আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রেও চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি । বাংলাদেশের এই সাম্প্রদায়িক হিংসার ফলে সেখানকার সাপ্লাইয়ের চেনসমূহও ভেঙে পড়ে । এখন প্রশ্ন উঠছে পূর্বের অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য বিধানে বাংলাদেশ কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে ?
গত জুলাই মাস থেকেই ছাত্র সমাজ কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে কিন্তু তা পরবর্তীতে বাংলাদেশ জুড়ে এক সাম্প্রদায়িক হিংসার সৃষ্টি হয় । আন্দোলন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সরবরাহের চেনসমূহও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে । এই আন্দোলনে Bangladesh Economy পরিস্থিতিও বেহাল হয়ে দাঁড়ায় । বাণিজ্যিক দিক থেকে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় সেখানকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে যায় । বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে জুলাই মাসের এই আন্দোলনের ফলে দেশের ভোক্তাদের মূল্য সূচক 1.98 থেকে 11.66 শতাংশ পর্যন্ত ছাড়িয়েছে ।
* আগামী মাসের বাণিজ্যিক মূল্যের দাম বৃদ্ধি :-
এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিকরা বাংলাদেশের মার্কেট গুলিতে পরিদর্শন করে । সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ী শফিক বলেন , দেশের বিভিন্ন অনিশ্চয়তার কারণে দ্রব্যাদির মূল্য কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে । ধীরে ধীরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রাও হ্রাস হচ্ছে । ফলে , বর্তমানে সরকাররের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন । ব্যবসায়ীরা বলেন , আগামী মাসেই দেশের বাণিজ্যিক দ্রবাদের দাম বৃদ্ধি করা হবে । কিন্তু জনগণের বাণিজ্যিক সরবরাহ শৃংখল এবং অনিশ্চয়তা ব্যাঘাতের কারণে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে না ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিক বলেন , সরকারের ওপর নির্ভর করছে দেশের বাণিজ্যিক মূল্যের দাম বৃদ্ধি । তাই বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে , আগামী মাসেই দেশের বাণিজ্যিক দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন । বাংলাদেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে , বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মূল্য প্রায় 31 জুলাই পর্যন্ত 20.48 বিলিয়ন ডলারে ছিল , যা গত মাসের থেকে 21.78 বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে । মার্কেট পরিদর্শনে যেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন , দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির ফলে সরকার নতুন আদেশ জারি করেছে । ফলে বর্তমানে আমরা স্থানীয় ব্যাংক থেকে 2 লক্ষেরও বেশি টাকা তুলতে পারছি না । ফলে আমরা বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে পারছি না ।
*স্থানীয় ব্যাংকের ভয়াবহ পরিস্থিতি :-
বাংলাদেশের এই সাম্প্রদায়িক আন্দোলনের ফলে শেখানোর স্থানীয় ব্যাংক গুলির অবস্থা ও ক্রমশ বেহাল পরিস্থিতিতে রয়েছে । তবে CPD অর্থাৎ Centre For Policy Dialogue এর পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন , দেশের বিভিন্ন ব্যাংকগুলি ক্লিনিক্যালি ভাবে ধ্বংসগ্রস্থ হলেও BELL OUT পরিষেবার মাধ্যমে পরিচালন করা হচ্ছে । এদিনের ঢাকার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , উক্ত আন্দোলনে যেই সমস্ত ব্যাংকগুলি ধ্বংসগ্রস্থ হয়েছে সেগুলির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ।
বাংলাদেশের Centre For Policy Dialogue বর্তমানে বেল আউটের মাধ্যমে জনগণের টাকা বিনিয়োগ করে পরিষেবা পরিচালনা করা হচ্ছে , তাই এই ধরনের ব্যাংক গুলি বন্ধ হলে ভালো হবে । সিপিডি সংস্থার কর্মকর্তারা আরও বলেন , বিগত 2008 থেকে 2023 সাল পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম 24 টি ব্যাংকিং পরিষেবায় কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রায় 92,261 হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছিল । 2024 সালের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাজেট 12 শতাংশ রয়েছে যা গত 2023 সালের অর্থবছরে দেশের GDP অর্থাৎ Gross Domestic Product এর প্রায় 02 শতাংশের সমতুল্য ।
*Bangladesh Economy ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তাদের মতবাদ :-
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সালেহউদ্দিন বলেন , বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক স্তরে আনতে ও ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যাপকভাবে কার্যক্রম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন । এই বিষয়ে তিনি প্রাক্তন গভর্নর আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন । গত শুক্রবার তিনি 16 জন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে Port Folio ঘোষণা করেন । তিনি বলেন , ধ্বংসগ্রস্থ ব্যাংকগুলির কার্যকলাপ পুনরায় শুরু করে ব্যাংকের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে কানাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য ।
Pingback: Foreign Currency Reserve :- শেয়ার বাজারের বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার বেড়ে গিয়ে 670.86 বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে ! 4 বিল