Kolkata’s Leaning buildings:- গত এক মাসের মধ্যে কলকাতায় 10 টিরও বেশি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে, এমনকি এও শোনা গিয়েছে ভবনগুলি লম্ব থেকে একপাশে ঝুঁকে গেছে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যাটি সেখানকার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা, প্রশাসনিক অবহেলা এবং শহরের socio-economic চাপের সম্মিলিত ফল । উক্ত ব্যাখ্যায় আমরা এই অস্বাভাবিক সমস্যার মূল কারণগুলি উন্মোচন করব এবং কীভাবে নিরাপদ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়, তা বিশেষভাবে খতিয়ে দেখব।
* মাটির গুণগত মান এবং নির্মাণের সমস্যা :-
কলকাতার মাটি প্রধানত কাদাময়, যা নির্মাণের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । তাই নির্মাণের আগে মাটিকে স্থিতিশীল হতে দেওয়া উচিত; তা না হলে ভবনগুলির ধসে পড়ার (subsidence) ঝুঁকি বেড়ে যায়। শহরের বড় অংশ, যেমন সল্ট লেক, পলি ও হ্রদজাত মাটি (alluvial and lacustrine soil) অবস্থিত রয়েছে । এই ধরনের মাটি যখন পলি মিশ্রিত বালি (silty sand) এর সাথে মিশে যায়, তখন তা স্থিতিশীল হয় । যদিও সল্ট লেকের উন্নয়নে নির্মাণের আগে মাটিকে স্থিতিশীল হতে দেওয়া হয়েছিল, তবুও গভীর স্তরের মাটি দুর্বল থেকে যায়, বলেছেন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেছিলেন, মিশ্র মাটিও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । যেমনকি একটি প্লটে বিভিন্ন ধরনের মাটি থাকলে ভবনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন হারে স্থিতিশীল হতে পারে, যার ফলে ভবন হেলে পড়তে পারে ।
* প্রশাসনিক অবহেলা এবং নিয়মের শিথিল প্রয়োগ :-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্মাণ নিয়মের শিথিল প্রয়োগ এবং প্রশাসনিক অবহেলা এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে । এছাড়াও অনেক সময় নির্মাণের সময় সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় না, যা ভবনের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ।
* সমাধানের উপায় :-
1. সচেতনতা বৃদ্ধি :-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবনের বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে কাঠামোগত নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তা না হলে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলবে ।
2. বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা :- স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । মাটির অবস্থা বুঝতে, উপযুক্ত ফাউন্ডেশন ডিজাইন করতে এবং ভূমিকম্প-প্রতিরোধী কাঠামো তৈরি করতে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজনীয় ।