Ronita Das:- বাংলা চলচ্চিত্রে সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রনিতা দাসের একটি কড়া মন্তব্যের পেছনে নানান প্রশ্ন উঠে আসছে । যেখানে তার বিশ্বাসই ছিল না । তিনি এতটাই এক রুখো হয়ে গিয়েছিলেন যে, “কাজের ক্ষেত্রে যদি কেউ তার গায়ে হাত দেওয়ার প্রস্তাব রাখে, তাহলে সে নিজের সম্মানের খাতিরে সেই কাজ পর্যন্তও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ।”
দেশের মেয়েদের সম্মানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এও বলেন, কোন ক্ষেত্রে মেয়েরা এখন সুরক্ষিত? এর পাশাপাশি তিনি আরো অনেক প্রশ্ন উঠিয়েছিলেন । পাশাপাশি তিনি কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গেও নানা মন্তব্যের ঝড় তৈরি করেছিলেন । উক্ত মন্তব্যে টলিউডের বহুঅভিনেত্রীরাও কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন । তবে নানান যেকোনো স্মরণ করে তার ওপর একটাই প্রশ্ন উঠেছিল । যার জন্য তিনি পুরোপুরি অবিশ্বাস্য ছিলেন এবং মত প্রকাশ করে বলেন,”নিজে ঠিক থাকলে কেউ গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারবেন না।”
এর পাশাপাশি রনিতা দাস এও বলেন, “নিজেকে সঠিক পথে রাখা সবথেকে প্রয়োজন ।” তবে আমি যে একথা শুধুমাত্র নিজের জন্যই বলছি তা নয়, এটি সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের অটল থাকা প্রয়োজন ।” সড়কপথে যাতায়াতকালীন সময়ে কোন ঘটনা ঘটলে সেটি হয়ে যায় দুর্ঘটনা, আর কর্ম ক্ষেত্রে প্রলোভন বা কুপ্রস্তাব দেখিয়ে কাজ করাটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর । তাই সেই কুপ্রস্তাবে যদি রাজি না হওয়া যায়, তাহলে কিছু কাজ যেতে পারে । নিজে তো ঠিক থাকব ।
স্বস্তিকার ঠোটকাটা মন্তব্য, “বাথরুমের দৃশ্য দেখে প্রস্রাবই করতে পারিনি!”
অপরদিকে আমি যেমন, নিজের শিল্প সত্তাকে কোন কিছুর বিনিময়ে বিক্রি করতে একেবারেই রাজি নই । তাই আমি কাজ করব, তবে তার পরিবর্তে পারিশ্রমিক টাকা নেব । তবে সেখানে কোন অন্যান্য প্রস্তাব এলে আমি তাতে রাজি হবো না যদি সেই ব্যক্তি আমার প্রেমের সঙ্গী না হন । তাই তাতে “কাজ গেলে যাবে”…… সর্বক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দৃঢ় মনেরও প্রয়োজন ।
এছাড়াও বর্তমান কালে সঠিক চিন্তাধারার জন্য নিজেদের চোখ, কান, নাক খোলা রাখা একান্ত প্রয়োজন । এই যে দিনের পর দিন রাত দখল হচ্ছে । সেই স্থানে যেতে গেলেও নিজেকে সঠিক চিন্তাধারায় আসতে হবে । বেশ কয়েক বছর ধরে আমি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে এসেছি, কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে, কোন গাড়িতে যাব তার জন্যও আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, নিজের চেনা কোনও ড্রাইভার আছে কী ?
ধরে নিন কাজের ক্ষেত্রে আমার গায়ে কেউ হাত দিয়েছে । এরপর আমার সেটা খারাপ লেগেছে । ঠিক তেমনটা হলে তৎক্ষণাৎ আমি সেই ফ্লোর ছেড়ে চলে যাব । তার জন্য আমি আমার কাজ শেষ করে টাকা নেওয়ার জন্য ছমাস পরে ওই অভিযোগ জানাবো না । যদিও সে দিক থেকে আমার ভুল থাকে । জীবনে চলতে গেলে খারাপ মানুষ সর্বত্রই পাওয়া যায় । তবে আমার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আমি আমার শরীর দিতে পারব না । তাতে কাজ গেলে যাবে….