Kanchan-Sreemoyee :-“নিজেদের ইচ্ছায় সন্তানের আগমন!” প্রমাণ চাওয়ায় কাঞ্চনের কড়া জবাব….

Kanchan-Sreemoyee :- কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবনে অবিচ্ছেদের একটি প্রধান অংশ হল তাদের মধ্যে বিতর্ক । 2024 সালে তাঁদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তানের আগমন পর্যন্ত, প্রতিটি ঘটনায় তাঁরা প্রতিনিয়ত আপডেট দিয়েছেন । তবে ট্রোলিং এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেন্দের নানান সমালোচনাকে পাশে রেখে তারা নিজেদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন ।

* মাতৃত্বের কঠিন সময় কাঞ্চনের বক্তব্য প্রকাশ :-

শ্রীময়ীর মাতৃত্বের সময়কালীন গর্ভাবস্থার যাত্রা খুবই কঠিন ছিল । শ্রীময়ীর এরূপ শারীরিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাঞ্চন জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থার সময়কালীন শ্রীময়ী প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন । তাঁর শরীরে নানান রোগের প্রভাব পড়েছিল । এমনকি তার শরীরে বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দিনে 30 থেকে 40 বার বমি থেকে শুরু করে নানান শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছিল । এমনকি কোন কোন দিন রাতের ঘুমও হারাম হয়েছিল তার ।

পত্নী শ্রীময়ীর এই পরিস্থিতিতে, কাঞ্চনের কাজের ব্যস্ততার কারণে সারাক্ষণ তার পাশে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । তিনি বলেন, “আমার কাজের জন্য সেই সময় আমি পাশে থাকতে পারিনি শ্রীময়ীর । আমার কাছে জীবনের একটি বড় আক্ষেপ থেকে যাবে ।” আরও পড়ুন, মাতৃত্বের গর্বে শ্রীময়ী !” রেশমী বস্ত্রে শ্রীময়ীর মাতৃত্বকালীন ছবি প্রকাশ !

* মাতৃত্বের প্রতি কাঞ্চনের শ্রদ্ধা প্রদর্শন :-

মহিলাদের শক্তি ও ধৈর্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কাঞ্চন বলেন, ” মহিলারা প্রেমিকা, স্ত্রী এবং মা হিসেবে নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেন । তাই তাঁদের জন্য বাস্তব জীবনে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না, পরিস্থিতিই তাঁদের শক্ত করে তোলে ।” কাঞ্চন তার পত্নী শ্রীময়ী চট্টরাজের মাতৃত্বের যাত্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্য ও শক্তিকে উপেক্ষা করে তিনি একশোতে একশো দিয়েছেন এবং তিনি ও বলেন, আমি রীতিমতো নজর রেখেছি, যে কীভাবে একজন নারী নিজের শরীর ও মনের পরিবর্তনকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারে ।

* ট্রোলারদের প্রতি কাঞ্চনের কড়া জবাব :-

কাঞ্চন ও তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলা ট্রোলিং প্রসঙ্গে কাঞ্চন অত্যন্ত দৃঢ় প্রতিক্রিয়া করে পড়া জবাবে বলেন, ” দয়া করে আপনারা আমাদের সন্তানের জন্ম নিয়ে ট্রোলিং করা বন্ধ করুন । একটি নির্মম শিশুকে তার মতো করে বড় হতে দিন । আমরা আমাদের ইচ্ছায় সন্তানকে এনেছি এই পৃথিবীতে । তাই এর জন্য কোনো প্রমাণ কাউকে দিতে রাজি নই ।”

কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর সন্তান কৃষভির আগমনের মাধ্যমে তারা তাদের জীবনে একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন । সামাজিক সমালোচনা ও বিতর্কীয় বক্তব্যকে এড়িয়ে তাঁরা একে অপরকে সমর্থন করছেন এবং তাঁদের সন্তানকে সুন্দরভাবে বড় করার জন্য প্রবল চেষ্টা করছেন ।

তাই কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর জীবনযাত্রা আমাদের এই অভিজ্ঞতায় নিয়ে আসে যে, বাস্তব জীবনে মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বই শুধুমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ যে তাই নয়, এটি জীবনব্যাপী একটি ভালোবাসার সম্পর্ক । তাই অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে সমালোচনা না করে নিজেদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোই আবশ্যক ।

“শক্তিমানকে ফিরিয়ে আনা খুবই প্রয়োজন ! কারণ, বর্তমান প্রজন্ম অন্ধকার পথে !”

Please enable JavaScript in your browser to complete this form.
Name

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top